নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈশ্বিক মহামারী করোনার সময় অনেক উন্নত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা যেখানে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চূড়ান্তভাবে সফল হয়েছেন। বাংলাদেশের কোথাও করোনার কারণে কোনো মানুষ না খেয়ে মারা যায়নি। চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছেন। স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অনেকেই করোনা পরিস্থিতির প্রথম দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। কিন্তু তখন যদি কোনোভাবে সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে পদত্যাগে বাধ্য করা হতো, তাহলে বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের ইমেজ চরমভাবে ক্ষুণ্ন হতো। এমনকি বিদেশীরা বলতে শুরু করতো, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। প্রয়োজন এখন সরকারের ইমেজকে আরো সুসংহত করার। এ কারণে চলতি মাসে মন্ত্রী সভার রদবদলের যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, সেখানে বিতর্কিত এবং নিষ্ক্রিয়দের বাদ দিয়ে ক্লিন ইমেজের লোকজনকে সযুক্ত করার। এক্ষেত্রে অনেক পেশাজীবী আছেন যারা দীর্ঘ ৫০ বছরের পেশাদারিত্বের সাথে সুনামের সাথে, সততা ও দক্ষতা নিয়ে কাজ করেছেন তাদের মধ্য থেকেও কাউকে কাউকে বেছে নেয়া যেতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পরিষদেও তাদের অন্তভূক্ত করা যেতে পারে, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থায় সৎ এবং দক্ষ অফিসার যারা অবসরে আছেন তাদেরও চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। সরকারের ইমেজ বাড়াতে ক্লিন ম্যানদের এখন খুব বেশি প্রয়োজন মনে করেন রাজনীতিবিদরাও।
চলমান সময়ে ধর্ষণ নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে বিএনপি। পেছন থেকে ইন্ধন দিচ্ছে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন হারানো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বিদেশে বসে অনেকে নামধারী কিছু সাংবাদিককে দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট এবং কুৎসা রটাচ্ছে। বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে তারা সক্রিয় রয়েছে। এমনকি তারা দেশে বিদেশে নানামূখী ষড়যন্ত্র করছে, প্রবাসীদের ভুল বার্তা দিচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উল্টোপাল্টা কথা বলছে। যদিও বাংলাদেশে স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন আকর্ষণীয় একটা দেশ। বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। শুধু মাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশমাটিক একক নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় এখন ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিদেশে এসব দুমুখো সাপ হিসাবে বিবেচিত ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে দেশপ্রেমিক এবং দক্ষতাসম্পন্ন সাবেক আমলাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে বাছাই করে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত করা প্রয়োজন। তাহলে ওই দেশের সরকারের সাথে মিলে এসব ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করবেন। মূলত, আওয়ামী লীগ সরকারের সকল উন্নয়নকাজকে আরো বেগবান করতেই সরকারে ক্লিন ইমেজের মানুষজন দরকার হয়ে পরেছে। কারণ প্রতিদিন বা প্রতিমূহুর্তেই উন্নয়ন হচ্ছে এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই সরকারের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বলতর করতে এখনই পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিদের সরকারে অন্তভুক্ত করা এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, সরকারের নির্ভরযোগ্য এবং গণভবনের বিশ্বস্ত সূত্রও জানিয়েছে, সরকার প্রধান হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সরকারে ক্লিন ইমেজের মানুষদের ঠাঁই দেয়ার কথা ভাবছেন।
আরও দেখুন
বিএনপির সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে হামলা-দখলের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ,,,,,,,,,,চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক …