নিউজ ডেস্ক: শনিবার (৩ আগস্ট) মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় এসেছেন দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার প্রয়াত কনিষ্ঠ পুত্রের স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। বেগম জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করতে দেশে এসেছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়লেও, গুঞ্জন উঠেছে-বগুড়ায় বাবা জিয়াউর রহমান এবং ফেনীতে বেগম জিয়ার মায়ের সম্পত্তির অংশে স্বামীর প্রাপ্য ভাগ নিতে দেশে এসেছেন শর্মিলা রহমান সিঁথি।
কিন্তু শর্মিলা সিঁথির এমন কর্মকাণ্ডে চটেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মূলত তারেক রহমানের কাছে কোন পরামর্শ না করে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ চাওয়ায় শর্মিলার উপর চরম নাখোশ হয়েছেন তিনি। আর এই কারণে তারেক রহমান তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকেও লন্ডন থেকে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক বলেন, মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে শর্মিলা রহমান সিঁথি বিএসএমএমইউতে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে তার প্রয়াত স্বামী কোকো’র বাবা-মা এর ভাগের প্রাপ্য সম্পত্তির ভাগ চেয়েছেন। ভাগ পেলে সম্পত্তি বিক্রি করে মালয়েশিয়ায় ব্যাংকে বিনিয়োগ করার কথা শর্মিলা খালেদা জিয়াকে বললে, বেগম জিয়া জেল থেকে মুক্তি পেলে কোকো’র সম্পত্তির হিসাব-নিকাশ করে প্রাপ্য শর্মিলাকে বুঝিয়ে দিবেন বলে আশ্বাস দেন। আমার ধারণা, খালেদা জিয়া কখনোই শর্মিলাকে তার পুত্র কোকো’র প্রাপ্য সম্পত্তির ভাগ সরাসরি দিবেন না। বরং কোকো’র মেয়েদের নামে হয়তো তিনি দীর্ঘমেয়াদে ফিক্সড ডিপোজিট করে দিবেন। কিন্তু হয়তো সিঁথি বেগম জিয়াকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করে বাড়তি সম্পত্তির ভাগ আদায় করে নিবেন, সেই শঙ্কা থেকেই তারেক স্যার তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছেন। যাতে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা বেগম জিয়া ও তার স্বামীর সম্পত্তির ভাগ তারক রহমানও পেতে পারেন।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সম্পত্তি ভাগাভাগি এটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার সম্পত্তির ওপর তারেক রহমান ও কোকো দুইজনেরই সমান অধিকার আছে। কিন্তু কেনো জানি কোকোর স্ত্রী শর্মিলা ও তারেক রহমানের ব্যবহার দেখে মনে হচ্ছে তারা এখনি সম্পত্তি বুঝে না নিতে পারলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবেন। আমি আশা করবো, তারেক রহমান ও শর্মিলা তাদের অন্তর্কোন্দল বাদ দিয়ে যেভাবে হোক খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করার চেষ্টা করবেন।