রাজু আহমেদঃ
সিংড়া পৌরসভাসহ ১২ ইউনিয়নে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপির নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা তহবিল থেকে ত্রাণ বিতরণ চলছে । অপরদিকে ব্যক্তিগত অর্থাৎ নিজস্ব তহবিল থেকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক, জেলা পরিষদ সদস্য সাজ্জাদ, কিছু স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এবং কয়েকজন চেয়ারম্যান ত্রাণ কার্যক্রম অব্যহত রেখেছেন। তারপরেও সিংড়া উপজেলার ৫ লক্ষ মানুষের মধ্য নিম্ন আয়ের সংখ্যা অনেক। এ তুলনায় ত্রাণ অপ্রতুল।
কর্মহীন মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত হাজারো পরিবার নীরবে চোখের জল ফেলছে। তাই মাননীয় প্রতিমন্ত্রী পলক ভাই, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, পৌর মেয়র সহ সকল জনপ্রতিনিধির কাছে নিবেদন এই দু:সময়ে প্রকৃত জনসেবক পরিচয় দিতে হলে শুধুমাত্র ফোনে নয় বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিয়ে অভাবী মানুষদের ত্রাণ দেয়া হোক। সমাজের কেউ না খেয়ে থাকবে না প্রতিমন্ত্রী পলক এমন ঘোষনা দিয়েছেন তার শতভাগ বাস্তবায়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। আপনারা অনেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ভালো কথা, তবে শতভাগ উজাড় করে দিন মুত্যু হলেও শহীদি মর্যাদা পাবেন। কারন মানবতার মাঝেই ধর্ম, মনুষ্যত্ব আর বিবেক। সবাইকে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হবে, এটা চিরন্তন সত্য। কেউ গাড়ি, বাড়ি অর্থকরি নিয়ে কবরে যেতে পারবে না।
উন্নত রাষ্ট্রের ধনীদের টাকা রাস্তায় পড়ে আছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলা অর্থ আর ঔষধ কোনো কাজে লাগেনি। করোনার কাছে তারা অসহায়। আল্লাহ না করুক, সামনে হয়তোবা আরো দুর্দিন আসতে পারে। সে লক্ষ্যে মানসিকভাবে প্রস্তৃত থাকাটা ডাক্তার, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, পুলিশ এবং সরকারের সকল দপ্তরের জরুরী। সাংবাদিকরা সমাজের ভুল গুলো তুলে ধরে দেশের স্বার্থে, জনগনের স্বার্থে। আমরা তৃণমৃল সাংবাদিকরা সরকারের সুযোগ সুবিধা পাইনা অর্থাৎ বেতন পাই না। তবু সমাজের কল্যাণে কাজ করে সাংবাদিকগণ। সমাজের বিত্তশালীদের এখনই সময় জনগণের পাশে দাঁড়ানো। নিজ নিজ জায়গা থেকে অথবা সরকারী তহবিলে আর্থিক সহায়তা করে গরীব,অসহায় মানুষদের খাবার নিশ্চিত করা।
লেখক: সাংবাদিক, সিংড়া, নাটোর