নিউজ ডেস্ক:
উত্তরা-৪ নম্বর সেক্টরের ৮ নম্বর সড়কের ফুটপাতে গৃহস্থালি বর্জ্যের স্তূপ জমেছিল। দুর্গন্ধে নাক চেপে চলাচল করতে হতো পথচারীদের। সন্ধ্যার পর ওই সড়কের দুটি সড়কবাতিও জ্বলতো না। গত ৮ ডিসেম্বর মোবাইল ফোনে ছবি তুলে ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপে অভিযোগ জানান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন। ১২ ঘণ্টা পরই ওই সমস্যার সমাধান করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
অন্যদিকে গত ১৫ জানুয়ারি খিলক্ষেতের নামাপাড়ার একটি ছোট্ট জলাশয়ে মশার প্রজননস্থলের ছবি তুলে সবার ঢাকায় অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দা ফাহিমা আক্তার। এই জলাশয়ের পাশেই তার বাসা। তার অভিযোগের দুদিন পর জলাশয়টি পরিষ্কার করে সেখানে কীটনাশক ছিটায় ডিএনসিসি।
এভাবেই সবার ঢাকা অ্যাপের (সিটিজেন এনগেজমেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম) মাধ্যমে নাগরিক সমস্যার সমাধানে কাজ করছে ডিএনসিসি। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারিতে অ্যাপটি উদ্বোধন করে সংস্থাটি। এখন নাগরিক সেবাপ্রাপ্তি ও মেয়রের কাছে সরাসরি অভিযোগ জানানোর সুযোগ করে দিয়েছে এই ডিজিটাল মাধ্যম। এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন নাগরিকরা। তবে অভিযোগও আছে কিছু।
এমন জনসেবামূলক কাজে অবদান রাখায় গত ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার-২০২১ পেয়েছে ‘সবার ঢাকা’। এখন অ্যাপটি পরিচালনা করছে ডিএনসিসির আইটি বিভাগ। এ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত স্মার্টফোনের প্লে স্টোর থেকে প্রায় ৩০ হাজার বার সবার ঢাকা অ্যাপ ডাউনলোড ও রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ হাজার ৪৩৭টি সমস্যার কথা জানিয়েছেন নাগরিকরা। সমাধান হয়েছে ২৪ হাজার ৭২৫টি। সমাধানের হার ৯৭ দশমিক ২ শতাংশ। এছাড়া ৭১২টি সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে।
ডিএনসিসির সিস্টেম অ্যানালিস্ট মো. তুহিনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, নাগরিকদের সঙ্গে ডিএনসিসির সংযোগ স্থাপন করতেই এ অ্যাপটি চালু করেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এখন কেউ অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিকভাবে তা সমাধানের চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তিনি জানান, গত এক বছরের বেশি সময়ে সড়কের সমস্যায় তিন হাজার ৩২৯টি, মশকে ১৩ হাজার ১৯১, আবর্জনায় দুই হাজার ৯৬৬, সড়কবাতিতে তিন হাজার ৬৫০, পাবলিক টয়লেটে ৪১, নর্দমায় ৬২৫, অবৈধ স্থাপনায় এক হাজার ২২৭ ও জলাবদ্ধতায় ৪০৮টি অভিযোগ জমা পড়েছে। প্রতিদিনই ১০-১৫টি করে অভিযোগ আসছে। সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে সেগুলো সমাধান করা হচ্ছে।