শুক্রবার , এপ্রিল ১৯ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / ‘সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় বাংলাদেশের অর্থনীতি’

‘সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় বাংলাদেশের অর্থনীতি’

বাংলাদেশ অর্থনীতির সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এখন সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্ট উয়িং শেফার, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা ও ভুটানের নির্বাহী পরিচালক অপর্ণা সুভ্রামনি, ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারমন ও আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মিথসুহিরো ফুরুসাওয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য যুদ্ধেও দেশের অর্থনীতি চাপে পড়েনি উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, গত দুই দশকে পৃথিবীতে কয়েকবার অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। ১৯৯৭ সালে সারাবিশ্বে যে মহাঅর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল তাতে ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াসহ এশিয়ার বেশ কিছু দেশ চরম অবস্থায় পতিত হয়। ২০০৮ সালের বিপর্যয়ে খোদ আমেরিকাসহ অনেক দেশে চরম অবস্থার সৃষ্টি হয়। কিন্তু তখনও আমাদের অর্থনীতি বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়নি। এখন পৃথিবীতে তৃতীয় চরম অবস্থা বিরাজ করছে আর সেটি হচ্ছে তথাকথিত বাণিজ্যযুদ্ধ।
দেশের অর্থনীতি ঝুঁকিতে নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, চলমান এই বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাবে সারাবিশ্বের অর্থনীতিতে নিম্নমুখিতা দেখা দিয়েছে। এতে চীনের প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক চার শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে নেমে গেছে, কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। এটাকে কল্পকাহিনীর মত মনে হলেও এটাই বাস্তবতা। এতে সবচেয়ে বড় অবদান বাংলাদেশের মানুষের। কেননা আমাদের উৎপাদন আর চাহিদা আমারা নিজেরাই তৈরি করি। ফলে আমাদের আর্থিক খাতে এই মুহূর্তে কোনোরকম ঝুঁকি নেই।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ বাংলাদেশের অর্থনীতির ভূয়সী প্রশংসা করেছে। আমাদের অগ্রগতি দেখে তারা অভিভূত। অন্য দেশগুলোর কাছে আমাদেরকে তারা ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করছে। আইএমএফ তাদের আউটলুকে বলেছে, চলতি বছর শেষে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। যদিও এটি আমাদের প্রক্ষেপণ থেকে বেশ কম, তথাপি আইএমএফ’র ইতিহাসে অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। আমাদের রয়েছে কর্মদক্ষ ভবিষ্যৎ যুবশক্তির সম্ভাবনা। ২০৩০ সাল নাগাদ তিন কোটি যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে এবং তখন কারো কর্মসংস্থানের অভাব থাকবে না।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা খুবই ভালো। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থানের প্রশংসা করেছে। প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ বিশ্ব সেরা।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অর্থ বিভাগের সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ, বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ।

আরও দেখুন

বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার

নিউজ ডেস্ক: বান্দরবানে হামলা ও ব্যাংক লুটকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি …