নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী রবিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত থেকে সচিবদের সঙ্গে সভা করবেন। সভাটি সচিবালয়ে হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রাহাত আনোয়ার বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন। গত বছরের ১৮ আগস্ট রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে সচিবদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সভা হয়েছিল, এরপর আর হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে গেছে, করোনা মহামারির কারণে এক বছরেরও বেশি সময় পরে সচিবদের সঙ্গে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সচিবদের সঙ্গে তিনি ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। এসব বিষয়ের ওপর সচিবদের মতামত শুনবেন। এই ১০টি বিষয় হচ্ছে—১. দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ। ২. বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনীতিকে সুসংহত রাখা। ৩. জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ। ৪. প্রয়োজনীয়তার নিরিখে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ। ৫. কৃষির উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে সারের জোগান নিশ্চিতকরণ ও পতিত জমি চাষাবাদ। ৬. সরকারি কাজে আর্থিক বিধিবিধান অনুসরণ করা। ৭. সরকারি সেবা প্রদানে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ক পরিকল্পনা। ৮. ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ড, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি বিষয়ে পর্যালোচনা। ৯. পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতির বিষয়ে পর্যালোচনা। ১০. সুশাসন ও শুদ্ধাচার।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, আগামী রবিবার (২৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠেয় প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার)-এর সভায় দেশে আরও দুটি নতুন বিভাগ গঠনের প্রস্তাব তুলে ধরা হবে। বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচটি জেলা নিয়ে ‘পদ্মা’ এবং বৃহত্তর কুমিল্লার তিনটি ও নোয়াখালীর তিনটি করে মোট ছয়টি জেলা নিয়ে ‘মেঘনা’ বিভাগ গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে।
সূত্র জানিয়েছে, নতুন এ দুটি বিভাগ হলে দেশে বিভাগের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০টিতে। এর আগে সব বিভাগের নাম স্থানীয় শহরের নামে হলেও এবার প্রথমবারের মতো দুই নদীর নামে দুটি বিভাগ হতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ অক্টোবর ও ৭ ডিসেম্বর ‘মেঘনা’ নদীর নামে কুমিল্লা ও ‘পদ্মা’ নদীর নামে ফরিদপুর বিভাগ হবে বলে ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক জানিয়েছেন, অনেক দিন পরে হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশরীরে সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। একই সঙ্গে তিনি নিকারের সভাও করবেন। সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের ১৩ তলায় নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর নতুন দফতরে এ সভাটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা বদল করে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে অনুষ্ঠিত হবে।