নিজস্ব প্রতিবেদক:
সবচেয়ে বেশি ভাস্কর্য রয়েছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র খ্যাত পাকিস্তানে। সেখানে জিন্না মিউজিয়ামে জিন্নাহর ক একটি ভাস্কর্য রয়েছে। বেনজির ভুট্টো থেকে শুরু করে সম্প্রতি এরতুগ্রুলের ভাস্কর্যও স্থাপিত হয়েছে।
তুরস্কের কামাল আতাতুর্ক, মাওলানা রুমি সহ অনেকের ভাস্কর্য রয়েছে। ব্রিজম্যান আর্ট গ্যালারিতে ওসমানিয়া খেলাফতের সময়কার পেইন্টিং আছে যেখানে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ছবি আঁকা হয়েছে। ইরান, ইরাক, মরক্কো ও তুরস্কে শতাধিক ভাস্কর্য রয়েছে। মানুষের ভাস্কর্য আছে কুয়েত, কাতার ও দুবাইয়েও । সৌদি আরবে স্ট্যাচু অব লিবার্টির রেপ্লিকা প্রদর্শন করা হয়েছে। জেদ্দা মিউজিয়ামে অনেকগুলো ভাস্কর্য রয়েছে। এছাড়া ইরানের শীর্ষ আলেমদের ফতোয়া মোতাবেক তাজিমের সঙ্গে কিছু আঁকা ও ভাস্কর্য নির্মাণ জায়েজ। সম্ভবত আফগানিস্তান ছাড়া সকল মুসলিম দেশেই ভাস্কর্য রয়েছে।
ভাস্কর্যের ক্ষেত্রে যে বিধিনিষেধ ছিল না তার ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত রয়েছে। আবু বকর (রাঃ) এর শাসনামলে আমর বিন আসের মিশর অভিযানে ফারাও ও স্ফিংস ভাস্কর্য অক্ষত ছিল। সাদ বিন আবি ওয়াক্কাসের ইরাকে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সময়ও কোনো মূর্তি ভাঙ্গা হয় নি।
গোটা ইসলামী শাসনের যুগে সারাবিশ্বে অগণিত ভাস্কর্য তৈরি হয়েছে। এটি নিষিদ্ধ হলে নির্মাণ হতো না। গত ১৪শ বছরে কেউ কোনো ভাস্কর্যকে মাবুদ হিসেবে গ্রহণ করে নি। হেফাজতে ইসলামীর গুটিকয়েক মৌলভী কিসের ভিত্তিতে নিজেদেরকে বিশ্বের সকল আলেমদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ভাবছেন?