নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার হারোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরে নিজ এলাকার বিলমাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন , এখান থেকেই অবসর নেন ১৯৯৮ সালে। আমার প্রিয় শিক্ষক। তার বেতের আঘাতে যত কষ্ট হতো, ভালোবাসা ও আদরে ভূলে গেছে সবাই। স্কুলে সবার আগে যেতেন, অফিস থেকে সবার পরে বের হতেন। কোনো দিন পাঠদানে অবহেলা তো দুরের কথা, এক মিনিট দেরি করেননি। অতিরিক্ত রেগে গেলে পেটের ঢামড়া ধরে টান দিতেন।
তিনি অত্যান্ত ধর্মভীরু ছিলেন। সন্ধ্যার পরে ধর্মীয় পোশাকে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে যেতেন, খোঁজ নিতেন তার ছাত্র কোথায় আছে ? বাড়িতে কেমন পড়ছে ? ওর বাবা-মার কাছে বিভিন্ন পরামর্শ দিতেন, কিভাবে তার ছাত্র মেধাবী হয়ে গড়ে উঠবে, কোথায় সে দুর্বল, কি খাওয়াতে হবে, কেমন পোশাক দিতে হবে, কখন স্কুলে যেতে হবে, কার সঙ্গে মিশবে, কখন ঘুমাবে, কখন ঘুম থেকে উঠবে, প্রতিনিয়ত ছিল তার যেন এ কাজ।
শ্রদ্ধেয় শিক্ষক এর সময়ে বিলমাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় লালপুর উপজেলার মধ্যে ফলাফলে অন্যতম ছিল। শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কে কিভাবে কাজে লাগাতে হবে সেদিকেও ছিল তার সুনজর। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
আরও দেখুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ ………..চাঁপাইনবাবগঞ্জে রক্তদান সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার …