নিজস্ব প্রতিবেদক:
“করবো বীমা গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে নাটোরে বীমা দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে নাটোর কানাইখালী মাঠের সামনে থেকে এক শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে কালেক্টরেট ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাসুদুর রহমান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম, এ্যাসিসেন্ট ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাতী ইনসুরেন্স জিল্লুর রহমান,নাটোর জেলার লীড অফিসার রুপালি লাইভ ইনসুরেন্স এস এম মনির বকুল সহ নাটোর জেলা থেকে আগত বীমা প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকরা। এসম বক্তার বলেন ১৯৬০ সালের ১ মার্চ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আলফা লাইফ ইন্স্যুরেন্সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যোগদান করেন।
ওই দিনকে স্মরণীয় রাখতে ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস পালনের জন্য বেছে নেওয়া হয়।দেশে বর্তমানে মোট ৮২টি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান বীমা সেবা দিচ্ছে। বর্তমানে বীমার আওতায় আছেন দেশের ১ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার মানুষ। লাইফ ও নন-লাইফ মিলে বীমা দাবি নিষ্পত্তির হার ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ৪ শতাংশ বেড়েছে।বর্তমান সরকার বীমার গুরুত্ব অনুধাবন করে পুরোনো বীমা আইনকে ঢেলে সাজিয়ে ২০১০ সালে নতুন বীমা আইন প্রণয়ন করেন। পাশাপাশি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন করেন।
এর পর এ খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ২০১১ সালে বীমা অধিদপ্তর বিলুপ্ত করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১০ সালের পর এখন পর্যন্ত ১০টি বিধি, ২০টি প্রবিধি এবং চারটি গাইডলাইন করা হয়েছে, যা বীমা শিল্পের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।