রত্না আহমেদ
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা আমাদের প্রাণপ্রিয় মোহাম্মদ নাসিম ভাই আর আমাদের মাঝে নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
নাসিম ভাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা এবং তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। একই সাথে তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আমরা একটি উজ্জল নক্ষত্রকে হারালাম। আল্লাহ তায়ালা নাসিম ভাইকে বেহেশত নসীব করুন। আমীন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম রাজনৈতিক সহযোগী, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর সুযোগ্য সন্তান, সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাননীয় সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম ভাই আজ শনিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে মৃত্যুবরন করেন। টানা দুই সপ্তাহ হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে চলে গেলেন তিনি।
রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে ১ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম ভাই। ওই দিনই তাঁর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ৪ জুন তাঁর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ৫ জুন ভোরে তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়। এরপর দুই দফায় ৭২ ঘণ্টায় করে পর্যবেক্ষণে রাখে মেডিকেল বোর্ড। এর মধ্যেই পরপর, তিনবার নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি তাঁর শরীরে। কয়েক দিন স্থিতিশীল থাকলেও গত বৃহস্পতিবার রক্তচাপ অস্বাভাবিক ওঠানামা করতে থাকে নাসিমের। এরপর গতকাল শুক্রবার পরিস্থিতি আরও জটিল হতে থাকে। হৃদ্যন্ত্রে জটিলতা দেখা দেয়।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম। তিনি সংসদে পঞ্চমবারের মতো সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন।
মোহাম্মদ নাসিম ভাই বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্রও তিনি।
২০১৪ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
লেখক:
সংসদ সদস্য, সংরক্ষিত নারী আসন (নাটোর-নওগাঁ) ও সভাপতি, জেলা আওয়ামী মহিলা লীগ, নাটোর