নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর:
শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় থেকে অবৈধভাবে পাথর ও বালু লুটপাটের মহোৎসব চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় বালু দস্যুরা গারো পাহাড় কেটে অবাধে পাথর ও বালু লুটপাট করে আসছে। পাহাড় কেটে অবাধে পাথর ও বালু উত্তোলন করায় গারো পাহাড়ের সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার হাল চাটি, বাকাকুড়া, গজনী, ছোট গজনী, শীল ঝোড়া, মঙ্গল ঝোড়া, সোমেশ্বরী নদীর তাওয়া কোচা, বালিজুরি, খাড়া মোরা ও কাল ঘোষা নদীর গান্ধী গাও সহ বিভিন্ন স্থান থেকে পাহাড় কেটে অবাধে পাথর ও বালু লুটপাট করা হচ্ছে। পাহাড় কেটে পাথর ও বালু লুটপাটের ফলে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে গারো পাহাড়। বালু দস্যুরা ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থেকে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কেটে পাথর ও বালু লুটপাট করে আসলেও এদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ তো দূরের কথা মুখ খুলতে সাহস পান না। এভাবে পাহাড় কেটে পাথর ও বালু লুটপাট করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন অনেকেই। কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন অবৈধ পাথর ও বালু উত্তোলনের বিষয়ে বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজে আসেনি। এসব পাথর ও বালু স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন স্থানে রাস্তা-ঘাট ব্রীজ-কালভার্ট নির্মাণ এ ব্যবহারের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হচ্ছে। বনবিভাগের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যেই অবৈধ পাথর ও বালু ভর্তি ট্রাক আটক করা হচ্ছে। আবার আটককৃত পাথর ভর্তির ট্রাক রহস্যজনক কারণে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে যেসব অভিযান চালানো হয় তা আইওয়াশ বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা ইলিছুর রহমান বলেন তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় তিনি বলেন পাথর ও বালু উত্তোলনের খবর পাওয়া মাত্রই অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। কোন কোন সময় মামলা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পাহাড় কেটে পাথর ও বালু লুটপাট বন্ধ হচ্ছে না। অভিযোগে প্রকাশ অবৈধ পাথর ও বালু লুটপাট কারীরা স্থানীয় এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে অবাধে পাথর ও বালু লুটপাট চালিয়ে আসছে। গারো পাহাড় কেটে নির্বিচারে পাথর ও বালু উত্তোলন করায় একদিকে যেমন গারো পাহাড়ের সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। অপরদিকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে।
শেরপুর এর সহকারী বন সংরক্ষক ডক্টর প্রাণতোষ রায় বলেন ৯ জুন মঙ্গলবার তিনি অভিযান চালিয়ে এক হাজার ঘনফুট পাথর আটক করেছেন। তিনি বলেন এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও দেখুন
চট্টগ্রামে ”উন্নত সংযোগের মাধ্যমে চট্টগ্রামের উন্নয়ন: সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক একটি সেমিনারে অনুষ্ঠিত
নিউজ ডেস্ক:চট্টগ্রামে “উন্নত সংযোগের মাধ্যমে চট্টগ্রামের উন্নয়ন: সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। …