নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর:
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সুরিহারা বালিয়া চন্ডি রাস্তার কোনাগাঁও কাটাখালি নদীর উপর এক যুগেও নির্মিত হয়নি ব্রিজ। ফলে এপথে যাতায়াতকারী হাজারো মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্রীজ নির্মাণের ব্যাপারে আজও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের পর এলজিইডি নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করে। ২০০৮ সালে পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে ব্রীজটি বিধ্বস্ত হয়। এতে প্রায় দশটি গ্রামের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে আর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে বিধ্বস্ত ব্রিজের পাশে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে শিক্ষার্থীদের পারাপারের ব্যবস্থা করা হলেও প্রশাসনিকভাবে নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। এ সাঁকোতে পারাপার হতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা।
দড়ি কালিনগর গ্রামের সুরুজ আলী, কাটাখালি গ্রামের আব্দুল আজিজ, মোকসেদ আলী, মুজিবুর রহমান, বিল্লাল হোসেন, সাদা মিয়া, কোনাগাঁও গ্রামের আবুল কালামসহ গ্রামবাসীরা জানায়, ব্রীজটি নির্মাণের অভাবে স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পারাপারের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তারা আরো জানায়, এ পথে কান্দুলী, বালিয়াচন্ডি, জগৎপুর, মালিঝিকান্দা, জরাকুড়া, কালিনগর, সাড়ি কালিনগর, পাগলারমুখ, বেলতৈল গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু ব্রীজটি নির্মাণের অভাবে এসব গ্রামবাসীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য ও গবাদি পশু পারাপারে চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে কৃষকদের। সরেজমিনে অনুসন্ধান এগিয়ে ভুক্তভোগী গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে এসব দুর্ভোগের কথা জানা গেছে।
ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন বলেন, এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণের বিষয়ে উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় বিভিন্ন সময় আলোচনা হয়েছে। আশ্বাসও পাওয়া গেছে, কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ওই ব্রীজ নির্মাণের বিষয়ে ডিজাইন এর কাজ চলছে। তা সম্পন্ন হলেই ব্রীজ নির্মাণ করা হবে।
আরও দেখুন
সিংড়ায় যৌথবাহিনীর ব্যাপক তল্লাশি
নিজস্ব প্রতিবেদক,,,,,,, সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায় যৌথবাহিনী। এসময় তাদের মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, কাভার্ড …