রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪
নীড় পাতা / অর্থনীতি / শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করেছে : ড. শেরিং

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করেছে : ড. শেরিং

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শেরিং আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি কোভিড-১৯ থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

এই সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বকে কৃতিত্ব দিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য উত্তরাধীকার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভিশন সফলভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। আর এ জন্য বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে চিরকাল স্মরণ করবে।’

বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা আরো নিবিড় করার ইচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সব সময় আমার হৃদয়ের খুব কাছে রয়েছে।’ বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষর ও দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্কের (বাংলাদেশকে স্বীকৃতির) ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়োনপো ড. টান্ডি দর্জি, অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী লিয়োনপো লোনাথ শর্মা এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য সচিবগণসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা নিজ নিজ পক্ষে এতে যোগদান করেন।

বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতিকে সফলভাবে মোকাবেলা করায় ড. শেরিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। তিনি আরো বলেন, ঐতিহাসিক এ চুক্তিটি এমন সময়ে করা হচ্ছে যখন বাংলাদেশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপযাপন করছে এবং পরের বছরই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপিত হবে।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, `এই ইতিহাসের অংশ হতে পেরে নিজেকে আমি সৌভাগ্যবান মনে করছি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সবাই জানি যে এ দেশের জন্য আপনি (হাসিনা), আপনার পরিবার ও আরো অনেকে কতটা অবদান রেখেছেন ও কতটা ত্যাগ স্বীকার করেছেন।’

ড. শেরিং বলেন, তিনি ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে সাত বছর ও ঢাকায় তিন বছর অতিবাহিত করেন। আর এ জন্যই বাংলাদেশ তার দ্বিতীয় দেশে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আজ আমার জন্য একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন এবং আমি আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কথা বলতে পেরে খুব খুশি।’

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার প্রতি আপনার মাতৃস্নেহ এবং আমাদের দু’দেশের সম্পর্কের জন্য আমি আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ ভুটানকে সব সময় সমর্থন ও দেশটির প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক আরো জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

স্বাক্ষরিত পিটিএ’র অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শিগগিরই সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করে ড. শেরিং বলেন, এই চুক্তি দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরো জোরদারে সহায়ক হবে।

ভুটান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভুটান। আগামী বছরজুড়ে দু’দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি এ ধরনের আয়োজন হবে। পিটিএ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ভুটানে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পাবে।

আরও দেখুন

বাড়ির উঠানে ৪ কেজি ওজনের গাঁজারগাছ-গ্রেপ্তার ১

নিজস্ব প্রতিবেদক সিংড়া,,,,,,,,,,,,নাটোরের সিংড়া পৌরসভার বালুয়াবাসুয়া মোল্লা পাড়া এলাকায় ১০ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছ উদ্ধার …