নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন আর্চবিশপ ও ভ্যাটিকানের প্রধান পোপ ফ্রান্সিস। সেই সঙ্গে তিনি মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও অব্যাহত সহায়তা প্রদানের জন্যও প্রধানমন্ত্রীর উদারতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ভ্যাটিকানে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান অনাবাসী রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে এ প্রশংসা করেন পোপ ফ্রান্সিস।
করোনা মহামারীর কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সম্প্রতি ভ্যাটিকান সিটির অ্যাপোস্টলিক প্রাসাদে এক আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও ভ্যাটিকানে নবনিযুক্ত আরও আট দেশের রাষ্ট্রদূতরা পোপের কাছে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন। পরিচয়পত্র গ্রহণের পর পোপ ফ্রান্সিস নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় তিনি চলমান করোনা মহামারী মোকাবিলায় সব জাতিকে পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা, মানবতাবোধ ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী সেবার সংস্কৃতি (কালচার অব কেয়ার) গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি শান্তিপূর্ণ, সহনশীল ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ গঠনে তাঁর ব্যক্তিগত প্রয়াস ও সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া তিনি অভিবাসন সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও জোরালো ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। বক্তৃতাপর্ব শেষে পোপ ফ্রান্সিস প্রত্যেক রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান পোপকে বাংলাদশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের স্বীকৃতি, আর্থসামাজিক উন্নয়নে বর্তমান সরকারের অর্জনসমূহ ও কভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের সদিচ্ছার অভাবের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন এবং মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যথাযথ চাপ প্রয়োগের বিষয়ে পোপের সক্রিয় সহায়তা কামনা করেন। এ সময় পোপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সাম্প্রতিক সাক্ষাৎগুলোর কথা উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় নেতৃত্ব ও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে প্রশংসা বাক্যগুলো উচ্চারণ করেন। পাশাপাশি পোপ তাঁর পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দিতে রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন।