নিউজ ডেস্ক:
ভারতের আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর পদক্ষেপের কারণে আসাম ভারতের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ রাজ্যে পরিণত হয়েছে।’
মঙ্গলবার আসামের গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘শেখ হাসিনা যদি আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর (আলফা) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতেন, তাহলে আজ আমরা এই শান্তিপূর্ণ রাজ্যে আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানাতে পারতাম না।’
তিনি আরও বলেন, রাজ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টার সময় আলফার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার পদক্ষেপ আসামে শান্তি পুনরুদ্ধারে অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করেছে। শেখ হাসিনার প্রচেষ্টার কারণেই আসাম তার অর্থনৈতিক উন্নয়নেও এগিয়েছে। তিনি বলেন, আসামসহ ভারতের জনগণ মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের সম্পর্ক রক্তে লেখা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিচক্ষণ নেতৃত্বে এই সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।’
এদিকে, বাংলাদেশ থেকে ২৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আসাম রাজ্যে চার দিনের সফর শুরু করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর এবং ভারতে আজাদী কা অমৃত মহোৎসবের অংশ হিসেবে ভারত সরকার এই সফরের আয়োজন করে।
২৫ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলে সাংবাদিক ও যুব প্রতিনিধিদের পাশাপাশি আসাম সংলগ্ন অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ১৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাও রয়েছেন। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী, বীর বিক্রম।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আসামের জনগণসহ ভারতের জনগণের ভূমিকা ও আত্মত্যাগের কথা উলেস্নখ করে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরও সমৃদ্ধ হবে।