নিউজ ডেস্ক:
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পঞ্চম এবং টানা চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিলেন তৃণমূলের নির্বাচিত বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি। গতকাল বেলা ১১টায় গণভবনে স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তারা প্রধানমন্ত্রীর সামনে এ প্রতিশ্রুতি দেন। তারা বলেন, অতীতের মতো ঐক্যবদ্ধ থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও বঙ্গবন্ধুকন্যাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবেন। একই সঙ্গে স্থানীয় সরকারের কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধানের সরকারপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। প্রথমবারের মতো স্থানীয় সরকার দিবস পালন উপলক্ষে সারা দেশ থেকে সিটি মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিটি কাউন্সিলরগণ অংশ নেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সম্মানিভাতা ও বাড়িভাড়া বৃদ্ধি করে দিন। সিটি করপোরেশনের নিজস্ব আয় থেকেই এটা দেওয়া হবে এবং এরই মধ্যে নতুন বাজেটে এ সংক্রান্ত বরাদ্দ দেওয়াই আছে। কাউন্সিলররা আগে থেকে ৮ হাজার টাকা করে বাড়িভাড়া পাচ্ছেন, যেটা বর্তমান সময়ে একেবারেই অপ্রতুল। এটা ২০ হাজার টাকায় বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সিটি করপোরেশন। খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, স্থানীয় সরকারে অনেক সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যার সমাধান করে শক্তিশালী করা হলে এক দিন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোই সরকারের অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবে। সিটি করপোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী অঞ্চলেও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত। প্রচ গরম, পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। পানি আর্সেনিক যুক্ত। পদ্মা নদীর পানিও কমে গেছে। কাজেই জলবায়ু তহবিল থেকে আমাদের এলাকায় যেন আর্থিক সুবিধা পায়, সেটা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান তিনি।
মিউনিসিপ্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ম্যাব) সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, যতদিন শেখ হাসিনা বেঁচে থাকবেন, ততদিনই তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের সেবা করে যাবেন। এটাই আমাদের প্রত্যাশা। দেশের ৩২৯টি পৌরসভার মেয়ররাই প্রতিজ্ঞা করেছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও দুমকী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. হারুন-অর রশীদ হাওলাদার বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যাকেই নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হবে, তাকেই বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বলেন, দেশে এত উন্নয়ন হচ্ছে। বিএনপি সেগুলো চোখে দেখে না। প্রধানমন্ত্রী আপনি যদি অনুমতি দেন আমি ১০ হাজার চশমা কিনব। আমি বিএনপি নেতাদের সেগুলো দিতে চাই। যেন সেই চশমা পরে তারা উন্নয়নগুলো দেখতে পান।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিলুফার ইয়াসমিন বলেন, আপনি দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। উন্নয়ন কাকে বলে তা মানুষকে দেখিয়ে দিচ্ছেন। আমরা আপনার এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। আপনি থাকবেন গণভবনে। আমরা থাকব রাজপথে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে পিরোজপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সালমা রহমান হ্যাপী বলেন, জামায়াত-বিএনপি কে কী ভাবল না ভাবল, সেটা বিষয় নয়। আপনার শাসনামলকে ইতিহাসই চিরদিন স্মরণ করবে। আগামী নির্বাচনেও আপনাকে আমরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।
রংপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাসিমা জামান ববি আগামী জাতীয় নির্বাচনেও শেখ হাসিনাকে পঞ্চম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী করার দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেন।? মানুষ এখন ভালো আছে। কোনো অভাব নেই। শিক্ষা দীক্ষা চিকিৎসা সবকিছুতে মানুষ অনেক এগিয়েছে।