নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রশংসা করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নেতা হিসেবে পেয়ে এই দেশের মানুষ সত্যিই ভাগ্যবান। আমার বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও তাকে নিয়ে গর্ববোধ করতেন। তিনি এবং তাঁর দল যে দক্ষতার সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
বুধবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশকে নিজের ‘সেকেন্ড হোম’ বা দ্বিতীয় ঘর হিসেবে উল্লেখ করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বলেন, বাংলাদেশ আর ভুটানের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য আছে। বাংলাদেশের এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। কারণ, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের ৫০তম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আমিও ইতিহাসের একটি অংশ হয়ে গেলাম।
গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তৃতাকালে লোটে শেরিং বলেন, বাংলাদেশকে আমার সেকেন্ড হোম মনে হয়। দুই দেশের মধ্যে অনেক মিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশের পররাষ্ট্রনীতিতে বলেছেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়।’ আমাদের দেশের রাজাও বলেছিলেন, ‘সবার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক’-এর কথা।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। এই করোনার মধ্যেও দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ জিডিপি বাংলাদেশের। এগুলো জেনে আমাদের সত্যিই আনন্দ অনুভূত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।
এছাড়াও নিজ বক্তব্যে কয়েক দফা বাংলায় শেখ মুজিবুর রহমানসহ বাংলাদেশ ও এদেশের জনগণের প্রশংসা করেন তিনি। একই সঙ্গে উভয় দেশ ও দেশের জনগণের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন এক সময় বাংলাদেশে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে থাকা ডাঃ লোটে শেরিং। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, সেই ঐতিহাসিক সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, সাবেক কূটনৈতিক রওনক জাহানসহ অন্যরা।