বৃহস্পতিবার , এপ্রিল ২৫ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / নাটোর সদর / শুধুই ছবি তুলে নিয়ে যায়- শিবানীর ভাগ্য বদলায় না

শুধুই ছবি তুলে নিয়ে যায়- শিবানীর ভাগ্য বদলায় না

নিজস্ব প্রতিবেদক:
শুধুই ছবি তুলে নিয়ে যায়-দৃষ্টি যেমন খোলেনা পঞ্চাশোর্ধ শিবানীর ভাগ্যও বদলায় না। এ যেন অন্ধের সাথে পরিহাস। কত সরকারি-বেসরকারি সাহায্য সংস্থা শিবানীর খবর নিতে আসে তারা তথ্য সংগ্রহ করে ছবি তুলে চলে যায়। মাত্র তিনবছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারান হত দরিদ্র পরিবারের শিবানী। পিতা গোপাল প্রামানিকের বসবাস করার মতো ছিল না ভিটেমাটি টুকু। দিনমজুর গোপাল প্রামানিক এবং উর্মিলা প্রামানিক এর প্রথম সন্তান ফুটফুটে শিবানীর জন্ম হয় ১৯৬৮ সালে। মাত্র তিন বছর বয়সে গুটি বসন্ত হয় দৃষ্টিশক্তি হারান শিবানী। তারপর থেকেই পৃথিবীর সকল রঙ বিবর্ণ হয়ে যায় তার কাছে। প্রথমে বোঝা হন তার বাবা মায়ের কাঁধে। বর্তমানে ছোট ভাই অসীম কুমার প্রামানিকের ঘাড়ে। বাড়ির মধ্যেই চলাচল করেন, এঘর ওঘর জান কারো সহায়তা ছাড়াই।

শিবানীর সন্ধান পাওয়া যায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আলোর নির্বাহী পরিচালক শামীম লাইজু নীলার কাছে। শামীমা লাইজু নীলা জানিয়েছিলেন, আলোর পক্ষ থেকে শিবানী কে প্লাস্টিক পাটি বানানোর প্রশিক্ষণ এবং অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবের নির্মম পরিহাস কোন সংস্থার কাছ থেকেই কোন রকম প্রশিক্ষণ এবং অর্থ সহায়তা তিনি পাননি।

শিবানী স্পষ্টভাবে বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য যদি কোন কাজ করার সুযোগ থাকত তাহলে তো অবশ্যই তা করতাম এবং জীবনের এই বোঝাটা কে কিছুটা হালকা করতে পারতাম। এমন সহায়তার কথা কেউ কখনই বলেননি। আমার জন্য ভাইয়ের যে কষ্ট হয় সেইটা লাঘব করতে আমি ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নিতে চেয়েছি কিন্তু আমার ভাই তা করতে দেয়নি। শিবানীর সমবয়সী এক প্রতিবেশী অনিমা দাস জানান আমরা তো শুধু ছবি তুলতে দেখেছি কিন্তু কাউকে কোন সাহায্য দিতে দেখিনি। শিবানীর ভাই অসীম জানেন আমরা বিরক্ত হয়ে গেছি মানুষের ছবি তোলা আর তথ্য নেয়ার জন্য। শুধুই ছবি তোলে আর তথ্য নিয়ে যায় কোন লাভ হয় না। সেই তো নিজের বড় বোন বলে ফেলে দিতে পারি না। তাকে এভাবে টানতে হয়।

তিনি আরো জানান, ছয় সদস্যের পরিবারের তিনি একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তবুও নিজের বড় বোনকে ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নিতে দেননি। শিবানীর বাবা-মা অশীতিপর বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। তারাও ছেলের সংসারে কোন অবদান রাখতে পারেন না। বরং তাদের কষ্ট এই অন্ধ মেয়েটার অতিরিক্ত তার ভাইয়ের কাঁধে বোঝা হয়ে আছে বলে। শিবানীর আক্ষেপ শুধু প্রতিশ্রুতি শুনি কিছু একটা হবে। কিন্তু এখন আর অত আশা করি না।

আরও দেখুন

আগামী বর্ষাকে সামনে রেখে রাজশাহী মহানগরীর ওয়ার্ড ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের সকল ড্রেন পরিস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

নিউজ ডেস্ক: আগামী বর্ষাকে সামনে রেখে ভবিষ্যৎ জলাবদ্ধতা নিরসনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক রাজশাহী মহানগরীর …