নন্দীগ্রাম (বগুড়া) থেকে অসিম কুমার রায়ঃ
বগুড়ার নন্দীগ্রামে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধিতে লেপ-তোষকের চাহিদা বাড়ছে। সেদিকটা লক্ষ্য রেখে বগুড়ার নন্দীগ্রামে লেপ তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে বেডিং দোকান মালিক-শ্রমিকরা। হেমন্ত ও শীতকালে প্রচন্ড শীতের প্রকোপ দেখা দেয়। যাকে বলা হয়ে থাকে হাড় কাঁপানো শীত। এ শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় লেপ-তোষকের। লেপ-তোষক না থাকলে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি মানুষ শীতে কাতর হয়ে পড়ে। নেপালের হিমালয় পর্বত উত্তরাঞ্চলের অনেকটা নিকটবর্তী হবার কারণে এ অঞ্চলে শীতের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই এ অঞ্চলের মানুষের শীতকালে লেপ-তোষকের অতি প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সেজন্য সবাই লেপ-তোষক তেরী করে নিতে বা ক্রয় করতে ছুটে চলে আসে বেডিং দোকানে। শিমুল তুলার লেপ-তোষক ও বালিশের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে। এ কারণে শিমুল তুলার মূল্য অনেকটা বেশি। শিমুল তুলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। কাবাস তুলা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হয়। বর্তমানে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা দরে লেপ পাওয়া যাচ্ছে। ঠিক তেমনি দরে তোষকও পাওয়া যায়।
নন্দীগ্রাম পুরাতন বাজারের ভাই ভাই বেডিং হাউজ এর প্রোপ্রাইটার মুক্তার হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এখন অনেকটা শীত পড়েছে। তাই লেপ-তোষক তৈরীর অনেক অর্ডার আসছে। অনেকেই তাদের পছন্দের লেপ-তোষক তৈরী ও ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। আমার ৩ জন শ্রমিকের সাথে নিজেকেও কাজে অনেকটা ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। এ সময়ে দ্রুতগতিতে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরী করে দিতে হয়। ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা দরে ভালো লেপ তৈরী করে দিচ্ছি এবং বিক্রয়ও করে আসছি।
মুক্তার হোসেনের শ্রমিক রবিউল ইসলাম ও আবু সাঈদ জানান, আমরা ১০,০০০ টাকা মাসিক বেতনে কাজ করছি। এখন আমরা লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছি। শুধু নন্দীগ্রামে নয় সারাদেশে তথা উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে লেপ-তোষক তৈরীর কাজে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে বেডিং দোকান মালিক ও শ্রমিকরা।
নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি : নন্দীগ্রামে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত বেডিং মালিক-শ্রমিকরা
আরও দেখুন
বিএনপির সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে হামলা-দখলের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ,,,,,,,,,,চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক …