নিউজ ডেস্ক:
শিক্ষক এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডল পর্যবেক্ষণ ও নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
এজন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ২৭ সদস্যবিশিষ্ট চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই কমিটির কাছে প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের চারটি কমিটি প্রতিবেদন ও সুপারিশ পাঠাবে।
কমিটি চাইলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে বলেও আদেশে জানানো হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রকাশিত ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৯’ অনুসরণ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং করবে।
কমিটি মাসে একবার সভা করে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ের উল্লেখযোগ্য বিষয় চিহ্নিত করে প্রতিবেদন ‘সোশাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন’ কমিটির কাছে উপস্থাপন করবে এবং কমিটি চাইলে বিধি অনুযায়ী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশনার আলোকে এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষকদের সোশাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা দিয়েছিল।
২০২০ সালে দেওয়া সেই নির্দেশনায় যা বলা হয়েছিল
# সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়, এমন কোনও পোস্ট, ছবি ভিডিও বা অডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। একইসঙ্গে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো সার্ভিস বা পেশাকে হেয় প্রতিপন্ন করে, এমন কোনও পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
# জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থি কোনো রকম তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন বা ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি পরিপন্থি কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে এরূপ কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
# জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো লেখা, অডিও বা ভিডিও প্রকাশ বা শেয়ার করা এবং ভিত্তিহীন, অসত্য বা অশ্লীল তথ্য প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
# মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃপক্ষ সামাজিক ও যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের গাইডলাইন, চাকরির বিধানাবলী এবং এ সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করে কর্মকর্তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করবেন।
# কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের বিধি ভঙ্গ করলে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং প্রয়োজনে তদন্ত করে এর প্রমাণসহ আঞ্চলিক অফিসের মাধ্যমে অধিদপ্তরকে অবহিত করবেন।
# সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় বিভিন্ন গ্রুপ বা পেইজের অ্যাডমিনরা পোস্ট/কমেন্ট ইত্যাদি অনুমোদনে করার সময় সরকারি নীতিমালার পরিপন্থি স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান, দপ্তর ও সংস্থার বিপক্ষে অবস্থানকারী কোনো পোস্ট অনুমোদন করবেন না। অন্যথায় অ্যাডমিন এবং পোস্টদাতা উভয়েই সরকারি বিধি অনুযায়ী অভিযুক্ত হবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।