নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর:
নাটোরের লালপুরে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিনে খরচে করোনা ভ্যাকসিনের রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে প্রশংসা কুড়াচ্ছে একদল উদ্যমী তরুন।
প্রতিদিন সকালে ল্যাপটপ অথবা ট্যাব হাতে নিয়ে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুবিধাবাঞ্চিত প্রান্তিক আয়ের মানুষের বাড়ির আঙিনায় গিয়ে তাদের কাছ থেকে টেবিল চেয়ার নিয়ে বসছেন তারা। তাদের দাবী এ পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রামে ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ১০ হাজার সুবিধাবাঞ্চিত মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে পেরেছেন।
এছাড়া তারা একই সময় অসচেতন মানুষদের সচেতনের লক্ষে বিভিন্ন লিফলেট বিতরনের পাশাপাশি সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করছেন। পানঘাটা গ্রামের রোজিনা বেগম(২৬) বলেন, আমরা বাড়ির কাজে ব্যস্ত থাকি। তারা গ্রামে এসে রেজিষ্ট্রেন করে দেওয়ায় আমাদের যেমন আর্থিকভাবে সুবিধা হয়েছে তেমনি সময়েরও অপচয় হয়নি। এখন আমরা শুধু উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে গিয়ে টিকা দিয়ে আসবো। গোধড়া গ্রামের আব্দুল মালেক বলেন, একদল তরুন যুবক গ্রামে গ্রামে ঘুরে গ্রামের সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এতে মহামারী করোনার হাত থেকে সাধারণ মানুষ মুক্তি পাবে।
এই উদ্যমী তরুনদের নেতৃত্বদানকারী আসাদুল ইসলাম বলেন, কোভিট-১৯ এ যখন পুরো পৃথিবী দিশেহারা। তখন থেকেই আমরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি গ্রামের অসচেতন মানুষদের সচেতন করার চেষ্টা করেছি। একই সময় লকডাউনে অভাবী মানুষদের খাবার বিতরণ করেছি। করোনার ভ্যাকসিন বের হওয়ার পর থেকেই আমরা সকল সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। প্রথম দিকে তারা ভ্যাকসিনে আগ্রহী না হলেও এখন তারা অনেকটাই সচেতন। প্রতিটি গ্রামে গেলেই তারা নিজে থেকেই আমাদের সহযোগীতা করছেন। আমরাও আমাদের এ কাজ আমরা অব্যাহত রাখবো।