নিজস্ব প্রতিবেদক,লালপুর:
নাটোরের লালপুর স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ সহ প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে রাতের অন্ধকারে পদ্মার চরে বালু ও মাটি ভরাট চুরি করছে ভূমিদস্যুরা। অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলন করার জন্য হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে ফসলি জমি সহ নদীর তীর রক্ষা বাঁধ।
আর রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। অন্যদিকে অবৈধভাবে বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মাটি খেকোরা। লালপুর সদরে চরজাজিরা মৌজায়,লক্ষীপুর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ থানার পাশে থেকে রাতের অন্ধকারে বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলন করে যাচ্ছে ভূমিদস্যুরা।
স্থানীয় প্রশাসন সহ পুলিশ জেনেও আইনি প্রদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। অবৈধ ভাবে বালু ও ভরাট উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে প্রতিকার পাচ্ছে না স্থানীয়রা। এছাড়া বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলনের সময় স্থানীয় প্রশাসনকে মুঠো ফোনে অবগত করলেও আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ সহ প্রভাবশালীদের উৎকোচের বিনিময়ে ম্যানেজ করে অবৈধ ভাবে বালু ও ভরাট উত্তোলন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। এর ফলে প্রশাসনকে অবগত করে কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। অবৈধভাবে বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলন ফলে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি,নদীর তীর রক্ষা বাঁধ,প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক জোন এলাকার জমি,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,থানা ভবন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন সচেতন মহল। মতামত,স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ সহ প্রভাবশালীদের ভয়ে অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলনের বিষয়ে কোন কথা বলতে চাইনি স্থানীয়রা।
তবে সচেতন মহল বলেন,অবৈধভাবে বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলন কারীদের সাথে স্থানীয় প্রশাসনের ও পুলিশের যারা জড়িত আছে তাদের সহ ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।