নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর:
সরকারী নিয়ম তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশে নাটোরের লালপুরে রাতের অন্ধকারে রিজভী কনকস্টাকসন নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফসলি জমি থেকে পুকুর খননের মাধ্যমে মাটি হরিলুট করে নিয়ে যাচ্ছে তাঁরা। আর এসব মাটি লালপুর-ঈশরদী সড়ক নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এতে স্থানীয় প্রশাসনের নিরব ভূমিকা দেখা গেছে। এছাড়া রিজভী কনকস্টাকসনের নামে সড়কের কাজে ব্যবহার করার জন্য লালপুর উপজেলার ফসলি জমি নষ্ট করে রাতের অন্ধকারে মাটি হরিলুট করে নিয়ে যাচ্ছে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। এতে আবাদি জমির উর্বরতা হারিয়ে অনাবাদি হয়ে পড়ছে। এছাড়া কমতে শুরু করেছে ফসলি জমির পরিমাণ। আর মাটি ভর্তি ও খালি ট্রাক্টর চলাচলের কারণে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।কৃষকদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে ভেকু মেশিন দিয়ে তিন-চার ফসলি জমির মাটি কেটে নিচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও থানা পুলিশকে উৎকোচের মাধ্যমে ম্যানেজ করে উপজেলার লালপুর সদর, ঈশ্বরদী, বিলমাড়ীয়া, দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় তিন-চার ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার মহোৎসব শুরু করেছে তারা বলে জানা গেছে। অন্যদিকে লালপুর থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে উৎকোচ দিয়ে ১০টি ইউনিয়নে প্রায় ৫৩টি স্থানে রাত ১০টা থেকে শুরু করে ভোর রাত পর্যন্ত ফসলি জমির মাটি কেটে ট্রাক ও ট্রাক্টর দিয়ে নিয়ে ইটভাটায় ইট তৈরি সহ বিভিন্ স্থাপনার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে ফসলি জমি কমে যাওয়ায় খাদ্য ঘাটতির আশংকা করছেন স্থানীয়রা। এমনকি ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ও ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধের জন্য পুলিশ সহ উপজেলা প্রশাসনের বরাবর আবেদন করেও কোন সাড়া পায়নি স্থানীয়রা বলে জানা গেছে।
সরজমিনে চামটিয়া(জয়ন্তিপুর)গিয়ে দেখা গেছে, মাটি কাটার তদারককারী এক ব্যক্তি বলেন, অনুমতি আছে কিনা আমার জানা নেই, আপনার রিজভী কনকস্টাকসন এর ইঞ্জিনিয়ার রুবেল স্যারের সাথে কথা বলুন। তাৎক্ষণিক পুকুর খননের বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও ফোনটি রিসিভ করেননি তিনি। এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, পত্রিকায় লেখা লেখি করে কোন প্রতিকার হয়না ভাই। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পুকুর খনন করা হচ্ছে। এবিষয়ে রেজভী কনকস্টাকসনের প্রকৌশলী রুবেলর মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে সচেতন মহল জানান, ফসলি জমিতে পুকুর খনন করায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের যে সকল সদস্যরা জড়িত আছে তাদের সহ অবৈধ ভাবে ফসলি জমি থেকে রাতের অন্ধকারে যারা মাটি হরিলুট করে নিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভূমি মন্ত্রীর সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা।
এবিষয়ে উপজেলার বিশম্বপুর গ্রামের কৃষক সোলেইমান হোসেন বলেন, ফসলি জমিতে পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের বরাবর আবেদন করে কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা নিষিদ্ধ। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা বলেন, ঘটনা স্থলে গিয়ে ভেকুর ব্যাটারি খুলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুকুর খননের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও দেখুন
রাণীনগরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারপিট করে ১৫ভরি স্বর্ণের ও
১০০ভরি চান্দির গহনা ছিনতাই নিজস্ব প্রতিবেদক রাণীনগর,,,,,,,,,, নওগাঁর রাণীনগরে দোকান থেকে বাড়ী ফেরার পথে পথ …