নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের লালপুরে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। লালপুর সদরে উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয় থাকলেও শুক্রবার ২৬ মে রাতে গোপালপুর আর একটি উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করেছেন নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শরিফুল ইসলাম রমজান।
এতে দলীয় কোন্দল প্রকট আকার ধারণ করতে পারে বলে জানিয়েছেন আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। আর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ সাগরের স্বাক্ষরিত একটি আমন্ত্রণ পত্রে স্থানীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল,নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড: আবুল কালাম আজাদ,গোপালপুর পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র রোকসানা মোর্ত্তজা লিলির অতিথি হিসেবে নাম থাকলেও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তাদের উপস্থিত দেখা যায়নি। এছাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফুর ওই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার কথা লেখা থাকলেও তাঁর উপস্থিত চোখে পড়েনি। তবে ওই আমন্ত্রণ পত্রে নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাহাক আলীর নাম লেখা নেই বলে জানা গেছে।
মতামত,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ সাগর বলেন,জেলা আওয়ামীলীগের সাথে পরামর্শ করে উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় নেওয়া হয়েছে। এদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু বলেন, বিগত ২০ বছর ধরে লালপুর বাজারে অবস্থিত উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের সকল কর্মকান্ড সফলতার সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের স্থায়ী কার্যালয় থাকার পরেও আরো একটি কার্যালয় উদ্বোধনের ঘোষণা শুনে আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে দলের ঐক্যবদ্ধতা বিনষ্ট হচ্ছে। এবিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন,উপজেলা আওয়ামীলীগের একাধিক দলীয় কার্যালয় হতে পারে। তিনি আরো বলেন,দলকে সু-সংগঠিত করতে প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় করা হবে।