বৃহস্পতিবার , নভেম্বর ১৪ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / লালপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ!

লালপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর
নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার এবি ইউনিয়নের বরমহাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র মেরামত ও সংস্কারের নামে বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থের শতভাগ কাজ না করে দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম এবং অন্যান্য সদস্যরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কাজের দুর্নীতি, স্কুল পরিচালনায় অনিয়ম, অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বরাদ্দকৃত ২ হাজার টাকার মধ্যে নাম মাত্র কিছু টাকা খরচ করে বাকি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন।

নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে নারদ বার্তাকে বলেন, প্রধান শিক্ষক সকালে নিজ ইচ্ছায় স্কুলে আসেন এবং হাজিরা দিয়ে উপজেলা কাজ আছে বলে সারাদিন আর স্কুলে আসেন না, অন্যদিকে ফাঁকা চেক এ আমার স্বাক্ষর নিয়ে এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিজ ইচ্ছামত কাজের ৪০ শতাংক কাজ করে বাকি অর্থ আত্মসাৎ করেন। সভাপতি মহোদয় এই বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে গোটা স্কুল বিল্ডিং সুন্দর করে রং করতে বলেন এবং বাগান করতে বলেন কিন্তু প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যদের নির্দেশ অমান্য করে নিজ ইচ্ছামত সামান্য কিছু কাজ করে জানান যে, বরাদ্দকৃত অর্থ শেষ হয়ে গেছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার জবাব নজরুল ইসলাম নিজে স্কুল পরিদর্শন করে কাজের অসঙ্গতি দেখে সাতদিনের সময় দিলেও প্রধান শিক্ষক প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সভাপতিকে তোয়াক্কা না করে স্কুল বিল্ডিং এর শুধু বারান্দা ও সামনে এবং বাগানের একটি ওয়ালের কাজ করে ভূয়া ভাউচার সাজিয়ে সমস্ত অর্থ উত্তোলন করেন।

এছাড়াও প্রধান শিক্ষক পরিক্ষা ফি, প্রতিবছর কাব স্কাউটের জন্য উত্তোলিত অর্থের হিসাব গড়মিল, গাইড বই ব্যবসাসহ সকল অনিয়ম ও অনৈতিক কার্যকলাপের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িয়ে আছেন। গত ২০১৮ সালেও তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠলে এলাকাবাসী তার বদলির জন্য আবেদন করেছিলেন কিন্তু প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম এরকম অনৈতিক কাজ আর করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে ঐ স্কুলে বহাল থাকেন। তিনি কিছু দিন পর থেকেই আবার তার ব্যক্তিগত আক্রোশ চরিতার্থ করতে আরো বেশি দুর্নীতিবাজ ও অর্থলোভী হয়ে পড়েন। তিনি নিজে ছুটি না নিয়ে তার ব্যক্তিগত কাজ করলেও অন্যান্য সহকারীদের প্রয়োজনীয় ছুটি দিতে চান না। এর ফলে মানসিক ভারাক্রান্ত সহকারী শিক্ষকগণ পাঠদানে মনোবল হারিয়ে ফেলেন যা বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যঘাত ঘটে অহরহ।

এই অবস্থায় উক্ত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, এলাকাবাসীসহ সকলে প্রধান শিক্ষকের দ্রুত বদলির জন্য আবেদন করেন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা যাচাই পূর্বক প্রধান শিক্ষক এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। তার বদলি না হলে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য ম্যানেজিং কমিটি দায়ী থাকবে না।

সার্বিক ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম নারদ বার্তাকে জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে শোকজের উত্তর পেলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে আবেদন পাঠানো হবে।

আরও দেখুন

নন্দীগ্রামে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত 

নিজস্ব প্রতিবেদক নন্দীগ্রাম,,,,,,,,,, কৃষিই সমৃদ্ধি এই প্রতিপাদ্যে বগুড়ার নন্দীগ্রামে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার …