নিজস্ব প্রতিবেদক,লালপুর:
রমজান মাসে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখে গেছে ৭০ টাকা মূল্যে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রিয় হচ্ছে। এতে তরমুজ কিনতে এসে সাধারণ ক্রেতারা হতাশায় পড়ছে। আর ইফতার সময় সরবতের চাহিদা এবং শরীরে পানির ঘাটতি পুরণে মিটাচ্ছে তরমুজ দিয়ে বলে জানান তারা।
ব্যবসায়ীরা পিচ ভাবে তরমুজ কিনে আনলেও প্রতিটি তরমুজ কেজি দরে বিক্রয় করছে তারা। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে পণ্যর দাম যাচাই এবং জরিমানা করে সতর্ক করলেও তরমুজের দাম যাচাই এবং বিক্রেতাদের সতর্ক করছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন ক্রেতারা। মতামত,গোপালপুর বাজারের একজন তরমুজ বিক্রাতা বলেন,বেশি দামে তরমুজ কিনে এনেছি। এজন্য ৭০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রয় করছি। আর লালপুর সদরে ত্রিমোহনীতে এক তরমুজ বিক্রেতার বলেন,পিচ হিসেবে তরমুজ বিক্রয় করা হচ্ছে না।
অন্যদিকে গোপালপুর বাওড়া গ্রামের গৃহিণী সৈয়দা আয়েশা সিদ্দিকা বলেন,স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তরমুজ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। লালপুরের বুধপাড়া গ্রামের গৃহিনী নাজিরা খাতুন বলেন, প্রশাসনের লোকজন বাজারে আসলে তরমুজের দাম কমে যায়। তবে তারা চলে যাওয়ার পরেই ব্যবসায়ীরা তরমুজের দাম বৃদ্ধি করে বিক্রয় করেন। এবি ইউনিয়নের ভবানিপুর গ্রামের মেহেদি হাসান বলেন,ভাই তরমুজের দাম বেশি হওয়ায় রমজান মাসে তরমুজ কিনছি না। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন,বাজারে মনিটরিং চলছে।