নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর:
গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধি দল লালপুর উপজেলার চকবাদকয়া গ্রামের প্রতিবন্ধী রনির বাড়ী পরিদর্শন করেছেন। রনির সচ্ছল জীবনযাপনে যতটা সম্ভব সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রতিনিধি দল।
প্রতিবন্ধী রনির বয়স এখন ২০ বছর। প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে জন্মের পর থেকেই লেখাপড়া জুটেনি রনির ভাগ্যে। সমাজের অন্য দশজন ছেলের মত তারও ইচ্ছা ছিল দলবেঁধে স্কুলে যাবে লেখাপড়া শিখবে খেলাধুলা করবে, মা-বাবার আদর-সোহাগে বড় হবে। কিন্তু প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে ধীরে ধীরে বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাকে বর্তমানে নিজের পেটের খাবার যোগান দিতে হচ্ছে মানুষের দ্বারে দ্বারে সাহায্য (ভিক্ষা) নিয়ে। যদিও সে এটা করছে ইচ্ছের বিরুদ্ধে। সে সাবলম্বী হতে চায়।
মঙ্গলবার প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধি দল রনির শারিরীক ও পারিবারিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে তার বাড়ীতে হাজির হন। রনি ও তার পরিবার যেন সচ্ছল ভাবে জীবন যাপন করতে পারে সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।
এ সময় আমিনুল ইসলাম টমি জানান, গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধী রনির অসহায় অবস্থার সংবাদ দেখে বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। আমরা সরজমিনে বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করেছি। কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ছেলেটির সচ্ছল জীবনযাপনে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ্।
এ সময় প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশনের পরিচালক (অর্থ) আমিনুল ইসলাম টমি, পরিচালক (দপ্তর) গোলাম সারোয়ার মিলন, লালপুর থানা কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও লালপুর বার্তার উপদেষ্টা সম্পাদক এ কে আজাদ সেন্টু , সাংবাদিক আব্দুর রশিদ মাস্টারসহ উক্ত গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সূত্র: সোনালী সংবাদ