মঙ্গলবার , মার্চ ১৯ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / লালপুর / লালপুরে পদ্মা থেকে বালু-ভরাট হরিলুট প্রশাসনের নিরব ভূমিকা

লালপুরে পদ্মা থেকে বালু-ভরাট হরিলুট প্রশাসনের নিরব ভূমিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুল:
সরকারী নিয়ম তোয়াক্কা না করে নাটোরের লালপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশে দিবা লোকে পানি শূন্য পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে ভেকু দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু-ভারাট উত্তোলনের মহাৎসব চলছে। এছাড়া রাতের অন্ধকারে যানবহনে করে বালু-ভরাট উত্তোলনের মাধ্যমে হরিলুট করে বিক্রয়ের হিড়িক লেগেছে।এতে প্রশাসনের নিরব ভূমিকা দেখা গেছে।

পানি শূন্য পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে এভাবে বালু-ভরাট উত্তোলন করা হলে লালপুর সদরে কলনীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রায় ৫০টি বাড়ী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, থানা, লালপুর সদর বাজার সহ ১০টি গ্রাম হুমকির নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার হুমকির মুখে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি প্রবাহিত হলে নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ার ওই সব স্থাপনা সহ গ্রাম গুলো নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে শূণ্য পানির পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে অবৈধ ভাবে বালু-ভরাট লুট করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ভূমিদস্যুরা। এতে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও থানা সহ লালপুর সদর বাজারের পাশে দিয়ে পানি শূন্য পদ্মা থেকে ভেকু দিয়ে বালু-ভারাট উত্তোলন করতে দেখা গেছে। ভেকু চালক বলে আপনার রানা সরদারের সাথে কথা বলুন। এর একটু পরেই চলে আসে বালু-ভারাট উত্তোলনের পরিচালনা ও বিক্রি করার ম্যানেজার এসে বলেন বৈধ ভাবে বালু-ভরাট উত্তোলন করা হচ্ছে।এইটা বৈধ ব্যবসা তাই দিনেই বালু-ভারাট উত্তোলন করে রাখা হয়েছে। সে আরো বলেন,অবৈধ ভাবে বালু-ভরাট উত্তোলন করলে থানার পুলিশ এখানে এসে বালু-ভারাট উত্তোলন বন্ধ করে দিতো।

ওই ম্যানেজার আরো বলেন, অবৈধ ভাবে বেশ কয়েকটি স্থানে রাতে বালু-ভরাট উত্তোলন করা হচ্ছে।এবিষয়ে স্থানীয়রা জানান,রানা সরদার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। থানা পুলিশ তাঁর কথায় চলে।তাঁর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দেওয়ার আমাদের সাহস নেই এবং ভরাট উত্তোলন নিয়ে কোন কথা বলতে চাচ্ছি না।এবিষয়ে পাবনা জেলার সাঁড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার বলেন,২লাখ ৯হাজার সিপ্টি বালু ফেলানো আছে। এই বালু উঠে গেলে আর বালু উঠাবো না।এছাড়া তাঁর পাশে ১০লাখ সিপ্টি বালু খামাল দেওয়া আছে।

এবিষয়ে লালপুর থানার ওসি ফজলুর রহমান বলেন,আমার জানা মতে কোন জায়গায় বালু-ভরাট উত্তোলন করা হচ্ছেনা। তিনি আরো বলেন, রানা সরদার ঠিকাদারী ব্যবসায় ও রাস্তার কাজে ব্যবহারের জন্য আলাইপুর থেকে বালু এনে রেখেছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা বলেন, বালু-ভরাট উত্তোলনের কোন প্রকার অনুমোদন দেওয়া নাই। তিনি আরো বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক বালু-ভারাট উত্তোলন বন্ধ করার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও দেখুন

আত্মরক্ষায় কারাতে প্রশিক্ষণ শিখছে লালপুরের কিশোরীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর:বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে নিজেদের আত্মরক্ষায় কারাতে প্রশিক্ষণ শিখছে লালপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কিশোরীরা। সম্প্রতি …