নিজস্ব প্রতিবেদক,লালপুর:
সরকারী নিয়ম তোয়াক্কা না করে ও অনুমোদন ছাড়াই নাটোরের লালপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে পদ্মায় জেগে ওঠা চর থেকে বালু-মাটি হরিলুটের হিড়িক। বালু-মাটি উত্তোলন বন্ধর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেও প্রতিকার পাচ্ছেনা পদ্মা নদীর তীরবর্তী মানুষেরা। আর প্রকাশ্যে বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলন করা হলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা।
এতে প্রশাসনের প্রতি আস্থাতা হারাচ্ছে তারা। উৎকোচের বিনিময়ে প্রশাসন সহ প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে রাতের অন্ধকারে ও দিনের আলোয় ভেকু দিয়ে অবৈধভাবে চরজাজিরা ও লক্ষীপুর থেকে মাটি ভরাট ও বালু উত্তোলনের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মাটি খেকোরা । এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর অপরিকল্পিত ভাবে মাটি ভরাট ও বালু উত্তোলনের কারণে লালপুর প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক জোন,হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি,বাড়ী ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন স্থাপনা ও নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে বলে জানান সচেতন মহল। এসব রক্ষার্থে ও প্রতিকার চেয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল সহ প্রশাসনিক দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার পাচ্ছে না স্থানীয়রা।
মতামত,ভোক্তভুগী বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েব উদ্দিন বলেন,আমার তিন বিঘা বাদামের জমি তছনছ করে দিয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলন করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনাগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।