নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের অমরপুর গ্রামের মৃত আবু তাহের মন্ডল ওরফে পলানের ছেলে আব্দুল মান্নানকে ভুলভাল বুঝিয়ে ৬ টি ফাঁকা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার পায়তারা করছেন আব্দুল মান্নানেরই আপন ভাই মুক্তার হোসেন এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নাটোরে ফৌঃকাঃবিঃ৯৮ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে সংবাদ কর্মীদের জানিয়েছেন আব্দুল মান্নান।মামলা নং ২৬৫পি/২৪।এ বিষয়ে আব্দুল মান্নান সংবাদ কর্মীদের কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন মুক্তার আমার আপন ভাই,আমার ছেলের একটি মামলায় জেল হলে আমি মুক্তার কে ছেলেকে জেল হতে জামিনে মুক্তি নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করতে বললে গত ২৮/০৫/২৪ ইং তারিখে বেলা আনুমানিক ১০ টার দিকে নাটোর আদালত চত্বরে আমাকে নিয়ে যায় এবং ছেলের মামলার জাবেদা নকল তুলতে হবে বলে একটি ওকালত নামা ও ৬টি ফাঁকা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আমার স্বাক্ষর নেয়।পরে বিষয়টি আমার সন্দেহ হলে আরেকজন আইনজীবীকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি এ সংক্রান্ত বিষয়ে স্ট্যাম্পে কোন স্বাক্ষর লাগেনা,আপনি হয়তো প্রতারণার শিকার হয়েছেন।পরে আমি ভাইকে অবগত করলে তিনি সাফকথা জানিয়ে দেন আপনি ঐটা বুঝবেন না।পরে বাধ্য হয়ে আমি ৯৮ ধারায় মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।এরই ধারাবাহিকতায় আদালত মুক্তারকে জবাব দেওয়ার জন্য হাজির করলে লিখিত জবাবে আদালতে তিনি বলেছেন,আমি নাকি আমার মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা প্রয়োজন হলে মুক্তারের নিকট হতে গত ২৮/০৫/২৪ ইং তারিখে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা হাওলাত করি এবং সেই টাকা ১৫/০৭/২৪ ইং তারিখে পরিশোধ করবো,না পারিলে আমার পৈত্রিক সম্পত্তির ২৮ শতাংশ জমি মুক্তারকে রেজিস্ট্রি করে দিব মর্মে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেছি এবং টাকা গ্রহণ ও স্ট্যাম্প লিখার সময় আমার মা,ছেলে,ভাই বোন উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন এগুলো সব মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন এবং সাজানো নাটক বলে দাবী করেছেন ভূক্তভোগী আব্দুল মান্নান। আব্দুল মান্নান আরও বলেন
আমার বাবা মারা যাওয়ার পরে আমি পৈতৃক সম্পত্তির কোন অংশ পাইনি,পৈতৃক সম্পত্তির অংশ পেতে ২০২২ সালে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান পরপর ৩ টি ধার্য তারিখে নোটিশ করেও অভিযুক্তদের হাজির করতে না পারায় আদালতে আশ্রয় গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তারপরও আমি এখন পর্যন্ত তা বুঝে পাইনি এখন সেই রেশ সুযোগ বুঝে মুক্তার কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে বলে আমার সন্দেহ হচ্ছে। এ বিষয়ে আব্দুল মান্নানের মা,ছেলে অন্য ভাই ও বোন সংবাদ কর্মীদের জানান,আব্দুল মান্নানের পিতার জমি তো ভাগ-বাঁটোয়ারা কিছুই হয়নি,আর মান্নান মোক্তারের নিকট থেকে টাকা নিয়েছে কি না আমরা তা জানিনা,স্ট্যাম্পের বিষয়েও জানিনা তবে মান্নানের ছেলের জামিনের জন্য মোক্তার যোগাযোগ করছে এটুকুই জানি।
এ বিষয়ে মুক্তার হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করে নাই।