নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর:
বিগত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভয়াল প্রমত্যা পদ্মার আশঙ্কাহারে পানি বৃদ্ধির ফলে বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামসহ রসুলপুর গুচ্ছ গ্রামের ৪০ ঘর অসহায় পরিবার পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরেজমিন পরিদর্শনকালে রসুলপুর গুচ্ছগ্রামের হতদরিদ্ররা সাংবাদিকদের কাছে আক্ষেপ করে কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় আমাদের বাড়িঘর সব ডুবে আছে। বিশুদ্ধ পানি, রান্নার সরঞ্জামাদী ও ঘরে খাবার না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। সরকারী ভাবে এখন অবধি কেউ কোনো খোঁজ নেইনি।
এই গুচ্ছগ্রামের কহিনূর, মোমেজান, আমেনা, এতিম প্রামানিক, কাঞ্চনা সহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, প্রতি বছরেই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে তাদের ঘরবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত থাকে। তাদের অধিকাংশই পার্শ্ববর্তী ইট ভাটাসহ কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। ফলে এই সময় কাজ বন্ধ থাকায় তাদের ঘরে পর্যাপ্ত খাবার থাকে না। তাদের প্রত্যেকেই সরকারী বিভিন্ন সহযোগীতা পাওয়ার উপযুক্ত।
কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বাররা কোন রকমের সহযোগীতা করেন না। এমনকি ত্রাণ চাইতে গেলে বলেন, তোমরা সরকারী যায়গায় থাকো এটাই তো বড় কিছু। আর কত কি লাগবে তোমাদের। তারা সারা বছর না হয় আমাদের কিছু না দিলো সমস্যা নেই। কিন্তু প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় তো আমাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক। আমরা আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিষয়টি অবহিত করার জন্য জোর দাবী জানাই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) শাম্মী আক্তার জানান, জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে ত্রাণ বরাদ্দ হয়েছে। আমরা শীঘ্রই সেগুলো বন্যার্তদের মাঝে পৌছে দেব।
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / লালপুর / লালপুরে ত্রাণের জন্য চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে পানিবন্দী গুচ্ছ গ্রামবাসী
আরও দেখুন
রাণীনগরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারপিট করে ১৫ভরি স্বর্ণের ও
১০০ভরি চান্দির গহনা ছিনতাই নিজস্ব প্রতিবেদক রাণীনগর,,,,,,,,,, নওগাঁর রাণীনগরে দোকান থেকে বাড়ী ফেরার পথে পথ …