নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুরঃ
শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে নাটোরের লালপুরে বুলবুল (২২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বুলবুল উপজেলার নবীনগর গ্রামের আসলাম আলীর পুত্র।
জানা যায়, দীর্ঘদিনের শ্বাসকষ্টের রোগী বুলবুল মার্চ মাসের ৪ তারিখে ঢাকা থেকে তার নিজ বাড়ীতে আসে। মার্চ মাসের ২২ তারিখের পর বুলবুলের জ্বর সর্দি কাশি ও গলা ব্যাথাসহ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। মঙ্গলবার বিকেলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে মঙ্গলবার রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ডাক্তার চিকিৎসা সনদপত্রে রোগের নাম লিখেছেন সিভিয়ার ব্রঙ্কাইলিও এ্যজমা।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএসএ ডাঃ আমিনুল ইসলাম নারদ বার্তাকে জানান, এই রোগী দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগলেও কখনও তাদের চিকিৎসা গ্রহণ করেনি। গ্রাম্য ডাক্তার দিয়ে এ্যজমার চিকিৎসা করিয়ে আসছিলেন। কয়েকদিন ধরে তার শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি মৌসুমী উপসর্গ যেমন জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা ইত্যাদি শুরু হওয়ার ৩/৪দিন পর গতকাল মঙ্গলবার সমস্যাগুলো বেড়ে যায়। এ অবস্থায় রোগীর পরিবারের সদস্যরা আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না এনে সরাসরি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে বলে জানতে পারি।
বুধবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাক্তার সাইফুল ফেরদৌস বলেন, যে যুবক মারা গেছে তার সর্দি কাশি ছিল না তবে জ্বর ছিল। বিকেলে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মারা গেছে। তার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। বাড়ির লোকজন তার মরদেহ নিয়ে চলে গেছে।
নাটোরের সিভিল সার্জন ডা কাজী মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, মৃতের মৃত্যু সনদপত্র পাওয়ার পরেই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে তার আগে কোন কিছু বলা সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বুলবুলের মৃত্যুর পর মধ্যরাতেই বুলবুলের পরিবারের সদস্যরা মরদেহ নিয়ে লালপুরে ফিরে আসে এবং স্থানীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করে।
এদিকে হাসপাতালে ভর্তির পূর্বে অসুস্থতার খবর পেয়ে প্রতিবেশীদের যারা যুবকের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের কয়েকটি বাড়িকে লকডাউন করে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুলবুল ঢাকা থেকে এসে নবীনগর বহুমুখী সমবায় সমিতিতে কর্মচারী হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন। বুলবুলের মৃত্যুতে ঐ এলাকার মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাস এর আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।