নিজস্ব প্রতিবেদক,লালপুর:
নাটোরের লালপুরে নান্দরায়পুর মনসা পূজার মেলায় ছুরিকাঘাতে নাজমুল হোসেন (২৬) নামে এক যুবক খুনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ এজাহার নামিয় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
রোববার (২০ আগস্ট ২০২৩) ভোর রাতে নিহতের বাবা মো. আব্দুল আজিজ সরদার বাদি হয়ে এজাহার নামীয় ৭ জনসহ অজ্ঞাত ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি নান্দরায়পুর গ্রামের নাছের আলীর ছেলে মনোয়ার হোসেন (২২) ও ময়না গ্রামের আমজেদ আলীর ছেলে আলী আজম (২৬)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের নান্দরায়পুর (বটতলা) গ্রামে মনসা পূজার মেলায় একই গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে কসমেটিক ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন (২৬) মেলায় যায়। নান্দরায়পুর বটতলা পৌছালে মোটরসাইকেল গ্যারেজের কর্মচারীরা তাকে গাড়ী গ্যারেজ করার কথা জানান। কিন্ত গ্যারেজ করতে রাজি না হওয়ায় গ্যারেজ মালিকসহ কয়েকজনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে গ্যারেজের মালিক একই গ্রামের জমসেদ আলীর ছেলে জিয়াউর রহমানের (২৪) হাতে থাকা চাকু দিয়ে নাজমুল হোসেনকে ডান পায়ের উরুতে আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক আত্মীয় আমির হোসেন নামে একজন মোটরসাইকেল যোগে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. সোহেল রানা বলেন, নিহতের ডান পায়ের উরুতে ধারালো ছুরির আঘাত রয়েছে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। সাধারণত এ ধরনের ইনজুরির ৫ মিনিটের মধ্যেই রক্ত ক্ষরনে একজন মানুষ মারা যেতে পারে।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপেন্দ্রনাথ সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার কর্মকার বলেন, সন্ধ্যায় তাঁরা মন্ডপ ত্যাগ করার পরেই এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে এসে মৃত্যুর খবর পান।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। রোববার এজাহার নামিয় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদেরকে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।