নিজস্ব প্রতিবেদক,লালপুর:
নাটোরের লালপুর উপজেলার ৮ নং দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন সংলগ্ন ভেল্লাবাড়িয়া আব্দুল ওয়াহেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন এর নিয়োগ নিয়ে শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ থাকলেও নিরব ভূমিকা পালন করছেন শিক্ষা কর্মকর্তারা।পাশাপাশি সাবেক প্রধান শিক্ষক এনামুল হক একটি মামলায়(১ বছরের জেল)সাজা প্রাপ্ত হলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার কারনে বর্তমানে অভিযুক্ত আলাউদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।এদিকে দায়িত্ব নেওয়ার পরে বিদ্যালয়ের নতুন পাস ওয়ার্ড পেতে শিক্ষা বিভাগে আবেদন করলে আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসে বিস্ফোরকের ন্যায় ভয়ঙ্কর সকল তথ্যাদি।এমনি একটি তথ্য জানতে পেরে সংবাদকর্মীরা সরজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে ছুটে যায় বিদ্যালয়টিতে।সেখানে গিয়ে দেখা যায় অভিযোগের সাথে হুবহু মিলে যাচ্ছে সকল তথ্য।
তথ্যে জানা গেছে,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন(ইনডেক্স নং ৫৬৭৭৬৬)তিনি ০১/০১/১৯৯৫ ইং তারিখে অত্র বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেছেন।কিন্তু ০৮/১০/৯৬ সালে বৈধকরনের তালিকায় তাকে অফিস সককারী পদে বৈধকরন করা হয়।আবার ১০/১০/২০০২ সালে প্রথম সককারী শিক্ষক(কৃষি পদে)যোগদান করে ২০০৩ সালে ১১ কোডে এমপিও ভূক্ত হয়।০১/০৮/১২ সালে আবারও তাকেই সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য যে,১৫ই আগষ্ট ২০১৯ সালে দৈনিক রাজবার্তা পত্রিকায় নিয়োগ সার্কুলার হলে সেখানেও তিনি নির্বাচিত হয়ে ০১/১০/১৯ ইং তারিখে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন বলে প্রমান পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে এমপিও কমিটি সূত্রে জানা যায়,সহকারী প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক)এর বিষয়ে একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত সভায় সহকারী প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন এর এমপিও ভূক্তির কোন সুযোগ নেই মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারক নং ৪ জি-৫৯৩-ম/২০১২(অংশ-১)/৩৯৫/৯,তারিখ ৩০/০৩/২২ ইং তারিখে পত্রে জানানো হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলাউদ্দিন সংবাদ কর্মীদের জানান,অত্র বিদ্যালয়ে আমার নিয়োগ সংক্রান্ত সকল তথ্য সঠিক আছে,কোন প্রকার ভুল নেই।সাবেক প্রধান শিক্ষক এনামুল হক সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় কমিটির সদস্যরা আমাকে নিয়ম অনুসারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছেন আমি তা সম্পূর্ণভাবে সঠিক ভাবে পালন করছি।
তিনি আরও জানান,সাবেক প্রধান শিক্ষক এনামুল হক আমাকে হয়রানি করতে এ সমস্ত কাজ করছে।
এ বিষয়ে সাবেক প্রধান শিক্ষক এনামুল হক জানান,আমি এখনো ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমার আগষ্ট-২৩ মাসেও বেতন এসেছে।আলাউদ্দিন স্থানীয় ও প্রভাবশালী হওয়ায় আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জানান,আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি নাই।মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের(ঢাকা) মহাপরিচালক ও রাজশাহীর উপ-পরিচালক বিষয় গুলো দেখবেন।