বৃহস্পতিবার , এপ্রিল ১৮ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / কদিমচিলান উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধা’ বিষয়ক সাক্ষাৎকারের নামে মিথ্যাচার!

কদিমচিলান উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধা’ বিষয়ক সাক্ষাৎকারের নামে মিথ্যাচার!

নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর
নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলান উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধাকে জানি’ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানের নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখে ওই বিদ্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী এবং তা কদিমচিলান উচ্চ বিদ্যালয়ের ফেসবুক আইডি থেকে প্রচার করা হয়।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সেখানে কোনো মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ/প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার কোনো আপনজন ও প্রত্যক্ষদর্শী কেউ উপস্থিত ছিলেন না। অথচ এই সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানের নিয়ম ছিলো, মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ/প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার কোনো আপনজন ও প্রত্যক্ষদর্শী এ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবে।

প্রধান শিক্ষকের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকান্ডে ও মিথ্যাচারে ক্ষোভে দানা বেধেছে স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষদের মনে। তারা বলেন, প্রধান শিক্ষকের বাবা ছিলেন একজন স্বাধীনতা বিরোধী পিস কমিটির সদস্য। তার রক্তে বইছে পাকিস্থানী প্রেতাত্মার রক্ত। আর সে কারণেই তিনি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মনোভাব হৃদয়ে লালন করছেন। মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতার স্বপক্ষে কোন কর্মকান্ড তিনি করতে চান না। এজন্য এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে জানা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মাসুদ রানা সোহেল জানান, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখানে মিথ্যাচার করেছে। শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার সম্পর্কে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ সম্পর্কে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ধারণা লাভ করতে পারেনি। তার কারণ হিসেবে ওই মুক্তিযোদ্ধা তনয় জানান, যে শিক্ষক সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তিনি একজন শান্তি কমিটির নেতার সন্তান। তার দ্বারা শিক্ষার্থীরা সঠিক কোন তথ্য পাবে বলে মনে হয় না। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাও একইভাবে এমন সন্দেহ পোষণ করেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটা আমরা এমনি এমনি করেছি। পরে আমরা ভিডিও করে নেটে ছাড়বো। এখন যেটা হয়েছে এটা তেমন কিছুইনা। এ ধরণের শিক্ষা বা সাক্ষাৎকার আমাদের কাছে মামুলী বিষয় উলে­খ করে প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, বিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক থাকলেই এটা চালিয়ে নেয়া যাবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বা বিরোধীর লোক এখানে মুখ্য বিষয় নয়।

কদিমচিলান ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা মাস্টার বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি এ ধরণের ভুয়ামী করে থাকেন তবে তারা তা ঠিক করেননি। সরকারের সঠিক নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালন করা উচিৎ।

আরও দেখুন

কুড়িয়ে পাওয়া টাকা মালিককে ফেরত দিলেন শিরিন-জিয়া দম্পতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:রেলের ধারে কুড়িয়ে পাওয়া টাকাসহ পোশাকভর্তি ব্যাগ ফেরত দিয়ে মহানুভবতার পরিচয় দিলেন নাটোরের বাগাতিপাড়ার …