নিজস্ব প্রতিবেদক :
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব চাঁন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। প্রবাসীর স্ত্রীর পরকিয়া ঠেকাতে চেয়ারম্যানকে হয়রানী ও লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে এবং ন্যায় বিচারের দাবিতে শনিবার দুপুরে নিজ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় পরিষদের মহিলা মেম্বার কুলছুম বিবি এবং মেম্বার হেলাল উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কালিগ্রাম ইউনিয়নবাসীকে সুনামের সাথে সেবা দিয়ে আসছি। গত প্রায় ১ বছর আগে জনৈক প্রবাসীর স্ত্রী মোবাইল ফোনে জানান গ্রামের একজনের সাথে পরকিয়া করি এমন একটি লিফলেট রাতে কে বা কাহারা বিলি করেছে। এমন মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান হিসেবে অভিযুক্তকে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে কথা বলতে নিষেধ করি। এরপর লিপলেট বিতরন করার বিষয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তার স্বামীর পরিবারের দুই জনের নাম প্রকাশ করেন। এরপর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের লক্ষ্যে ওই দুই ব্যক্তির কাছে জানতে চাইলে তারা জয়সার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন এর সাথে প্রবাসীর স্ত্রীর পরকিয়া সম্পর্ক আছে জানায়।
এঘটনায় অত্র বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতির মাধ্যমে জাকির মাষ্টার এবং প্রবাসীর স্ত্রীকে তারা যেন একে অপরের সাথে কোন সম্পর্ক বা যোগাযোগ না রাখে বলা হলে, তারা কোন কর্ণপাত না করে অবাধ চলাচল করতে থাকে। এছাড়া গত ৬ফেব্রয়ারী ওই গ্রামে এক কুলখানির অনুষ্ঠানে পরিষদেও স্টাপসহ দাওয়াত খেতে গেলে সেখান থেকে ওই প্রবাসী স্ত্রীর বড় ভাই বোনের বাড়ীতে নিয়ে যায়। ওই বাড়ীতে যাওয়ার কারনে জাকির মাষ্টার ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে নিয়ে লোকজনকে বিভিন্ন অশালীন কথা-বার্তা বলে। এতে আমার সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে গত ২০ফেব্রয়ারী একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রবাসীর স্ত্রীর নিকটাত্মীয় উক্ত দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে প্রবাসীর স্ত্রীকে দিয়ে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। হুমকির প্রেক্ষিতে গত ২মার্চ রাণীনগর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন চেয়ারম্যান ওহাব। এর পর গত ৫সার্চ সন্ধ্যায় খাঁনপুকুর বাজারে গেলে প্রবাসীর স্ত্রী হঠাৎ করে শারিরীক লাঞ্চিত করে এবং মামলা করার হুমকি দিয়ে যায়। এঘটনায় আবারো রাণীনগর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী এবং পরের দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সম্মেলনে তিনি লাঞ্চিত করার প্রতিবাদ ও ন্যায় বিচার দাবি করেছেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে জনৈক প্রবাসীর স্ত্রী বলেন,চেয়ারম্যান ওহাব আমাকে বার বার কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল,আমি তার প্রস্তাবে রাজী না হয়ায় আমার বিরুদ্ধে নানান ধরনের কু-রুচিপূর্ণ কথা বার্তা ছড়াতে থাকে। ফলে বাধ্য হয়েই আমি তাকে লাঞ্চিত করেছি।এঘটনায় শিক্ষক জাকির হোসেন চেয়ারম্যানের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে আমার কোন পরকিয়া সর্ম্পক নেই এবং চেয়ারম্যানের সাথেও কোন দ্বদ্ব নেই। কিন্তু তার পরেও চেয়ারম্যান ওই নারীকে জড়িয়ে আমার ব্যাপারে মিথ্যে প্রচার করছেন। আমি এব্যাপারে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
আরও দেখুন
তারেক রহমানের ইতিবাচক রাজনীতি আশার সঞ্চার করছে:দুলু
নিজস্ব প্রতিবেদক,,,,,,,বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন,গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে তারেক …