নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোর সদর উপজেলার ৪ নং লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আঞ্জুয়ারা বেগম (৩৯) এবং মেয়ে হাবিবা (১১)। আনজুয়ারা নাটোর সদর উপজেলার লক্ষীপুর খোলাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত হেলাল উদ্দিনের তৃতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে হেলাল উদ্দিন বিয়ে করেন অপর একজনকে কিন্তু তার সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে তিনি পরবর্তীতে তিনি আবারও বিয়ে করেন বাগাতিপাড়া উপজেলার ফাগুয়ারদিয়াড় ইউনিয়নের মৃত আছিম উদ্দিনের মেয়ে আঞ্জুয়ারাকে। স্বামী হেলাল উদ্দিন ২০১৫সালে মারা যাওয়ার পরে আঞ্জুয়ারা এবং তার মেয়ে হাবিবার লাখ টাকার সম্পদ থাকলেও জায়গা হয়নি স্বামীর বাড়িতে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, হেলাল উদ্দিনের মৃত্যুর পরে তার পূর্বের স্ত্রীর এর সন্তান আনিছুর রহমান (লাবু)(৪৫) এর দাপটে জায়গা হয়নি সৎ মা আঞ্জুয়ারা এবং বোন হাবিবার। আনজুয়ারা অভিযোগ করেন তার সতীনের সন্তান মাদ্রাসা শিক্ষক আনিছুরের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আনিছুর রহমান হালসা ইউনিয়নের বাগড়োম মাদ্রাসার শিক্ষক। এ ব্যাপারে স্থানীয় ভাবে সালিশ বৈঠকের ব্যবস্থা করলেও আনিসুর রহমান বরাবরই পাশ কাটিয়ে গেছেন। তিনি তার সৎ মা বোনকে বিতাড়িত করেছে সম্পত্তির ভাগ থেকে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় আনিছুর রহমান বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত এবং প্রতিটি সালিশে আওয়ামী লীগের কোন নেতৃবৃন্দ থাকলে তার রায় অস্বীকার করেন এবং বিএনপি জামাত এর চিহ্নিত নেতাদের দিয়ে নানাভাবে হুমকি প্রদান করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রংপুর থেকে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে মাদ্রাসাতে নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীর প্রতিবেশীরা বলেন, আঞ্জুয়ারা বেগম খুবই অসহায়। তাই তার কথা ভেবে ৪ বার বৈঠক করা হয় আনিছুর রহমানের সাথে। তবুও স্বামীর বাড়িতে ঠাঁই হয়নি আঞ্জুয়ারা বেগমের।
৫নং ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন জানান, আমরা গ্রাম্য সালিশ এবং পূর্বের চেয়ারম্যান এর উপস্থিতিতে অনেকবার সালিশ বৈঠক করার পরেও অভিযুক্ত (লাবু) বারংবার সালিশের রায় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। আঞ্জুয়ারা বেগমের ভাই রাজিব জানান, সেও তো আমার সৎ বোন। কিন্তু আমাদের তো আত্মার সম্পর্ক আমরা তো তাকে দূরে সরিয়ে দেই নি। আমি নিজেও অনেক গরিব, এ অবস্থায় বোনকে নিয়ে চলা কঠিন হয়ে পড়েছে আমার। আমরা চাই এর একটি সুষ্ঠু বিচার এবং সমাধান হোক।
এ বিষয়ে আঞ্জুয়ারা বেগম জানান, আমি তো শুধুমাত্র চেয়েছিলাম আমার সন্তানদের নিয়ে একসাথে সুখে শান্তিতে থাকতে। কিন্তু আমার সৎ ছেলে আমাকে আমার স্বামীর সম্পত্তিতে থাকতে দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এমনও হয়েছে আমি আশেপাশে শিশুদের লালন পালন করার জন্য যে টাকা পেয়েছি সে টাকা ও সে আমার থেকে নিয়ে নিয়েছে জোরপূর্বক। আমি শুধু আমার স্বামীর সেই স্মৃতি টি নিয়ে এবং আমার সন্তানদের পাওনা অংশ নিয়ে বাঁচতে চাই। আঞ্জুয়ারা বেগমের মেয়ে হাবিবা বলে, এবারের ঈদে ভাইয়া আমাকে কিছু দেয়নি, আমাকে এবং আম্মুকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে, আব্বু থাকলে হয়তো আমাদের ঈদ এমন হতো না।
অভিযোগ সম্পর্কে আনিসুর রহমান (লাবুর) কাছে জানতে চাইলে, তিনি সকল বিষয় অস্বীকার করে এবং প্রতিবেদককে স্থানীয় বিএনপি’র নেতার বরাত দেখিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এছাড়াও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আনিসুর রহমান বিভিন্ন অপকর্ম করে চলেছে। তার বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকার আত্মসাৎ এবং সরকারি রাস্তার জায়গা দখল করার অভিযোগ ও রয়েছে।
আরও দেখুন
লালপুরের গণেশ চন্দ্র দাস আর নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক লালপুর,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,উত্তরবঙ্গের খ্যাতিমান ফুটবল খেলোয়াড় নাটোরের লালপুর সদরের বাসিন্দাশ্রী গণেশ চন্দ্র দাস (৮০)বার্ধক্যজনিত কারণে …