নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি বাংলাদেশে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মিথ্যাচার ও গুজবের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপক হারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলা, মানুষকে অস্থির এবং মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পরিকল্পিতভাবে এসব গুজব লন্ডন, দুবাই, যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে ছড়ানো হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুতে মাথা লাগবে এরকম গুজবটি প্রথম ছড়ানো হয়েছিল দুবাই থেকে। দুবাইতে একটি টেলিভিশনের মালিক এবং বেগম খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ সাবেক বিএনপি নেতা দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছেন। দুর্নীতির দায় এড়ানোর জন্য তিনি দুবাই অবস্থান করছেন। তার তত্ত্বাবধানে দুবাই থেকে বিএনপি নেতৃবৃন্দর অন্তত ১০০টি ফেসবুক খোলা হয়েছে, যেগুলোতে বাংলাদেশ, সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে নানা রকম কল্পিত মিথ্যাচার এবং গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
আরো জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে জামায়াত এবং বিএনপির তত্বাবধানে শতাধিক ফেসবুক পেজ খোলা হয়েছে যেগুলোর একমাত্র কাজ হলো বাংলাদেশ সম্বন্ধে বিভ্রান্তিকর মিথ্যা এবং অসত্য ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানো। এগুলো গত একমাসে অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে পরিকল্পিত গুজব সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এছাড়া, সৌদি আরব থেকেও কয়েকটি ফেসবুক পেজ এবং ওয়েব সাইটের মাধ্যমে গুজব সন্ত্রাস ছড়ানো হচ্ছে।
একটি সূত্র বলছে, লন্ডন থেকে এই গুজব সন্ত্রাসগুলোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। লন্ডনে একটি মিনি হাওয়া ভবন তৈরি করা হয়েছে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে। তারেক রহমান এই গুজব সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য একাধিক ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছেন, যারা নানা রকম গুজব ছড়াচ্ছে এবং এই গুজবগুলো বিভিন্ন দেশে বিএনপির এজেন্টদের মাধ্যমে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যান্য শাখায় ছড়ানো হচ্ছে।
সূত্রটি এও জানায়, এই গুজব সন্ত্রাসের প্রথম মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করা, জনগণকে অস্থির করে তোলা, তাদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে তোলা। ধারণা করা হচ্ছে, এর ফলে সরকারের উপর জনগণের আস্থা কমে যাবে, জনগণ অসহিষ্ণু হয়ে উঠবে এবং পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় লক্ষ্য হলো, সরকারের লোকজনকে বিভ্রান্ত করা, তাদেরকে ব্যতিব্যস্ত রাখা যেন তারা বন্যা, ডেঙ্গুর মতো দুর্যোগগুলোর দিকে নজর দিতে না পারে। বরং তারা যেন নানারকম গুজবের পিছনে ছোটে।
গুজব সন্ত্রাসের তৃতীয় উদ্দেশ্য হলো যে, গুজব ছড়িয়ে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা যেন সেখান থেকে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-বিএনপি ফায়দা লুটতে পারে।