নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর:
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে নাটোরের লালপুরের গোপালপুর হাট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে স্থানীয় প্রশাসনের নিরব ভূমিকা চোখে পড়ে। আজ সোমবার সকাল থেকে বিধিনিষেধ আরোপ না মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে সাপ্তাহিক গোপালপুর হাট জমজমাট ভাবে বসেছে।
যা বিধিনিষেধ আরোপে বলা হয়েছে হাট উন্মুক্ত জাগায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হাট বসার কথা থাকলেও বাস্তবে তা ভিন্ন রুপ দেখা গেছে। নিয়মের তোয়াক্কা না করে লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌরসভা এলাকার সদর হাট সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমজমাট ভাবে বসেছে এই হাট। আর হাটের ভিতর মানুষের আনাগোনায় জমে উঠেছে গোপালপুর সাপ্তাহিক হাট। হাটে মানুষের জনাসমাগম চোখে পড়ার মতো, সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বালাই নেই। প্রতি সোমবার ও শুক্রবার ২দিন এই হাট নিয়মিত বসে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন এলাকায় থেকে মানুষ আসে এই হাটে। ফলে গোপালপুর হাটে মানুষের সমাগম এর কারণে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
৫ জুলাই সোমাবার সরজমিনে বিকেল ৫ টা ৫৫ মিনিটের দিকে গোপালপুর সাপ্তাহিক হাটে ক্রেতাদের আনাগোনায় মুখরিত অবস্থা দেখা গেছে । এসময় ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব দেখা যায়নি এবং বাজারের আসে পাশে করোনায় আক্রান্ত রোগী আছে বলে জানা গেছে। ফলে বিভিন্ন এলাকার ক্রেতা ও বিক্রেতার সমাগমে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
এবিষয়ে সচেতন মহল জানান, সরকার মানুষের ভালোর জন্য বিধিনিষেধ আরোপ করে কঠোর লকডাউন দিয়েছে। যাতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে অথচ গোপালপুর সাপ্তাহিক হাট বসার জন্য বিভিন্ন এলাকার মানুষের সমাগম দেখা গেছে। যা বিধিনিষেধ আরোপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।
এবিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাম্মী আক্তার বলেন, বিষয়টি দেখছি।