নিউজ ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের সমর্থনে দৃঢ়ভাবে পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। একই সাথে তারা রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূল কারণ মোকাবেলা করে এর দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ঢাকায় ১৪টি পশ্চিমা দেশের মিশন প্রধানরা এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা, সুরক্ষা ও শিক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশ সরকার, জাতিসঙ্ঘ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে একযোগে কাজ করব। বাংলাদেশে অবস্থানকালে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও মর্যাদার সাথে জীবন যাপন করার সক্ষমতাকে আমরা গুরুত্ব দেই, একই সাথে অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তাদের মিয়ানমার ফিরে যাওয়াকে আমরা সমর্থন করি। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে আমরা সমর্থন দিয়ে যাব।
এদিকে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার প্রধান মিশেল ব্যাচেলে গতকাল জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটির বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। আকাশ থেকে হামলা চালানো হচ্ছে। আর্টিলারি ব্যবহার করা হচ্ছে। রাখাইন রাজ্যেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির সঙ্ঘাতে রোহিঙ্গারা প্রায় হতাহত হচ্ছে। অনেক অভিযানে রোহিঙ্গাদের সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়ত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের বিচ্যুতিগুলো নথিভুক্ত করছি।
বাংলাদেশে চার দিনের সফর শেষে গতকাল দেয়া এক বিবৃতিতে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত নয়েলিন হেইজার বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের ব্যাপক বাস্তুচ্যুতির পাঁচ বছর পরও বাংলাদেশ শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে অব্যাহতভাবে উদারতা দেখিয়ে আসছে। তবে শরণার্থীদের এই বোঝা ভাগাভাগি করে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আঞ্চলিক দেশগুলোকে আরো সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে খারাপ হচ্ছে। এই সঙ্কটের সমন্বিত, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধান বের করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এই সঙ্কটকে আমরা ভুলে যেতে পারি না।