শুক্রবার , জানুয়ারি ১০ ২০২৫
নীড় পাতা / জাতীয় / রোডওয়ে স্ল্যাব আর ৬ মিটার বসলেই পদ্মাসেতুর সড়ক নির্মাণ শেষ

রোডওয়ে স্ল্যাব আর ৬ মিটার বসলেই পদ্মাসেতুর সড়ক নির্মাণ শেষ

নিউজ ডেস্ক:
পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির মাঝখানে টু-এফ স্প্যানটিতে মাত্র ৬ মিটার রোডওয়ে স্ল্যাব বসে গেলেই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সড়ক পথ নির্মাণ শেষ হবে বলে জাানিয়েছেন পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম। 

তিনি সমকালকে বলেন, ‘‘মাওয়া প্রান্তের ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির মাঝখানে টু-এফ স্প্যানটিতে মাত্র ৬ মিটার এলাকায় রোড স্ল্যাব বসে গেলেই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সড়ক পথ নির্মাণ শেষ হবে, তবে যান চলতে বাকি থাকবে কার্পেটিং। ১৮ মিটার চওড়া স্প্যানের উপর তলায় ২২ মিটার প্রস্থের চার লেনের সড়ক পথ তৈরি শেষ হলেই যান চলাচলের উপযোগী হবে পদ্মা সেতু। ’

তিনি জানান, ২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর জাজিরা প্রান্তের ৩৭ ও ৩৮তম খুঁটির মাঝের স্প্যানে রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো শুরু হয়েছিল। পদ্মা সেতুর সড়ক পথের ২৯১৭টি স্ল্যাবের মধ্যে ৮টি বসানো বাকি মাত্র। পদ্মা সেতুর সড়ক পথের ৪০টি স্প্যানে রোড স্ল্যাব বসে গেছে। সেতুর ৬ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকায় এখন গাড়ি চলতে পারছে। 

পদ্মা সেতুর স্ল্যাব বসানো বাকি আর মাত্র ৩টি। পদ্মা সেতুর সড়ক পথের ৪০টি স্প্যানে রোড স্ল্যাব বসে গেছে। বাকি শুধু একটি স্প্যানের একাংশ। এখন চলছে ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির মাঝখানে টু-এফ স্প্যানটিতে স্ল্যাব বসানোর কাজ। চলতি মাসের ১৫ দিনেই বসে গেছে ৭১টি স্ল্যাব। গত ১৫ আগস্ট একদিনেই বসেছে ১১টি স্ল্যাব। 

পদ্মা সেতুর প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, নির্ধারিত সময়ের একমাস আগেই স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হবে। 

পদ্মা সেতুতে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হয়েছে চলতি বছরের ২০ জুন। ১ হাজার ৩২৮টি রেলওয়ে স্টেনজারের উপর বসেছে ১৭ ফুট প্রস্থের রেলওয়ে স্ল্যাব। ফলে এখন সেতুর নিচতলা দিয়ে পায়ে হেঁটেই মাওয়া থেকে পদ্মা পার হয়ে জাজিরা প্রান্তে যাওয়া যাচ্ছে। 

প্রায় ১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পদ্মা সেতুতে গ্যাস পাইপলাইন স্থাপন করছে চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপ লাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড।  

এই প্রকল্পের পরিচালক সুন হুন্ডু সমকালকে জানান, প্রকল্পের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পাইপ লাইন স্থাপন সম্ভব।      

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৮৭ দশমিক ৩৫ শতাংশের বেশি। আর মূল সেতুর অগ্রগতি ৯৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আর নদী শাসনের কাজের অগ্রগতি সাড়ে ৮৪ শতাংশ। সব প্রতিকূলতা ছাপিয়ে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর কাজ। 

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সব ঠিকঠাক থাকলে দক্ষিণাঞ্চলের কোটি কোটি মানুষের ভাগ্য বদলে দেয়ার পদ্মা সেতু আগামী বছরের জুনের মধ্যেই খুলে দেয়া হবে।’

আরও দেখুন

সিংড়ায় কৃষকের নির্মাণাধীন ঘর

ভেঙ্গে দিলো প্রতিপক্ষরা নিজস্ব প্রতিবেদক সিংড়া,,,,,,,,,,,,,নাটোরের সিংড়ায় কৃষক মাসুদের নির্মাণাধীন ঘর ভেঙ্গে দিয়েছেপ্রতিপক্ষরা। চাঁদা না …