নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেছেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে রোগী পরিবহণে পলস্নী অ্যাম্বুলেন্সসেবা যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
এটি গ্রামাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পল্লী অঞ্চলের লোকজন এ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে খুব সহজেই কমিউনিটি ক্লিনিক, উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে স্বল্পখরচে রোগী পরিবহণ সুবিধা পাবে।
রোববার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনলাইন মাধ্যমে উপস্থিত থেকে সাতটি উপজেলায় সাতটি পলস্নী অ্যাম্বুলেন্স পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সমিতির সদস্যদের মাঝে বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক পল্লী এলাকায় স্বল্পমূল্যে দরিদ্র রোগীদের পরিবহণসেবা প্রদানের জন্য ৪০টি পলস্নী অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ করবে। প্রথম পর্যায়ে যশোর জেলার মনিরামপুর, শার্শা, চৌগাছা, কুমিলস্না জেলার লালমাই, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ এবং মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুরসহ মোট সাতটি উপজেলায় সাতটি পলস্নী অ্যাম্বুলেন্স বিতরণের পাইলটিং কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর হোসেন, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) মো. রাশিদুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, একটি জাতি যদি স্বাধীন হয় তাহলে সেই জাতির মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি প্রকাশ করার সুযোগ পায়, পরাধীন রাষ্ট্রে তা কোনো দিন সম্ভব হয় না। আজ বাংলাদেশ স্বাধীন বলেই বিভিন্ন উদ্ভাবনী কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের জনগণের জন্য বিভিন্ন সেবা সহজ করা সম্ভব হচ্ছে। জাতির পিতার আদর্শ ও প্রধানমন্ত্রীর চিন্তাপ্রসূত বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে গ্রাম পর্যায়ে আমরা কাজ করছি। প্রতিটি ইউনিয়নে তিনটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। এর দ্বারা গ্রামের মানুষ সহজভাবে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে ২৭ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ১৩ হাজার ৮৮২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সারাদেশে গ্রাম পর্যায়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে।