চট্টগ্রামে রেলের পরিত্যক্ত জমিতে পিপিপির আওতায় পাঁচশ শয্যার হাসপাতাল ও একশ আসনের মেডিক্যাল কলেজ করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সিআরপির পাশে ছয় একর জমিতে ৪৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন এ হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
রেলমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলের যে সব জমি রয়েছে তা রেলের উন্নয়নের জন্য এখন কাজে লাগবে না। সেই পরিত্যক্ত জমিগুলো আমরা কীভাবে আরো ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারি সেটার জন্য বর্তমান সরকারের নীতি অনুয়ায়ী উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর ৩০ শতাংশ যাতে পাবলিক প্রাইভেট পাটনারশিপে নেয়া হয় এবং প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকেই এগুলো দেখভাল করা হয়।
তিনি বলেন, পিপিপির গাইড লাইন অনুয়ায়ী চট্টগ্রামে ৫০০ বেডের একটি হাসপাতাল এবং ১০০ সিটের একটি মেডিক্যাল কলেজ হবে। প্রকল্পটি আমাদের অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। রেলওয়েতে প্রথম একটি পিপিপি প্রকল্প হলো। আগামীতে রেলের জমিগুলো এভাবে প্রকল্প নিয়ে ব্যবহার করবো।
এ প্রকল্পের বাজেট কত ও হাসপাতালটি কোথায় হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সিআরপির পাশেই ছয় একর জমিতে এই হাসপাতাল তৈরি করা হবে। পাঁচশ বেডের হাসপাতাল ও ১০০ সিটের মেডিক্যাল কলেজ একসঙ্গে এক স্থানেই হচ্ছে। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৪৮৬ কোটি টাকা। এটি ৫০ বছর মেয়াদি হবে। এরপর চুক্তি অনুযায়ী ৫০ বছর পর হাসপাতালটি রেলের হয়ে যাবে।
‘আমরা দলমত নির্বিশেষে রেলের জায়গাগুলো রেলের অধীনে নিয়ে আসছি। এগুলো কীভাবে ব্যবহার করা যায় সেজন্য আমরা সেই প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছি। পিপিপির অধীনে বড় ধরনের কোনো প্রকল্প করা যায়, সেই সুযোগও তৈরি করছি। আবার নিজেরা মার্কেট করে ভাড়া দিতে পারি সে ব্যবস্থাও করছি।’
কমলাপুর রেলওয়ে হাসপাতালে সেবার কোনো মান নেই, সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেবার মান বাড়াতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেখবেন হাসপাতাল, বিভিন্ন ফার্মেসিকে আমরা আধুনিক করে ফেলেছি।