রাজধানীর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যার আগে ‘ছেলেধরা’ গুজব রটনাকারী রিয়া বেগম ও প্রধান অভিযুক্ত ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় হোসেন মোল্লা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার হৃদয় ও রিয়াকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তারা সেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মিল্লাত হোসেন তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে উত্তর পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে রিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ভূলতা এলাকা থেকে হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উত্তর বাড্ডায় গত ২০ জুলাই সকালে ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে আহত করে বিক্ষুব্ধ জনতা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওইদিন বাড্ডা থানায় ৪০০-৫০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন তাসলিমার ভাগ্নে নাসির উদ্দিন।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ, বাড্ডা ও উত্তর বাড্ডা থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করে বাড্ডা থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।