রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪
নীড় পাতা / ফিচার / রেডিও বড়ালে প্রচারিত “হলদে পাখির কলকাকলি” অনুষ্ঠান শুনে শিশুদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে

রেডিও বড়ালে প্রচারিত “হলদে পাখির কলকাকলি” অনুষ্ঠান শুনে শিশুদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে

আরিফুল হক রুবেল:
করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপশি বিনোদনের স্থান গুলো বন্ধ থাকায় অধিকাংশ শিশুরই ঘরবন্দী সময় কাটছে। আর এই ঘরবন্দী অবস্থায় বিনোদনের পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াতে রেডিও বড়ালে ৯৯.০ এফ এম এ প্রচারিত হচ্ছে শিশু শিক্ষা ও  বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান “হলদে পাখির কলকাকলি”।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ হতে ৩১ অক্টোবর ২০২০ তারিখ পর্যন্ত সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে বেজে উঠতো “আমরা সব হলদে পাখি কিচির মিচির ডাকাডাকি” শিশুরাও কান পেতে থাকতো রেডিও বড়াল ৯৯.০ এফ এম এ কখন বেজে উঠবে তাদের হলদে পাখির গান কখন শুরু হবে তাদের পছন্দের অনুষ্ঠানটি সেই আশায় ।

অল্প কয়েকদিনে শিশু মনে জায়গা করে নিয়েছে অনুষ্ঠানটি, হলদে পাখি অনুষ্ঠানের নিয়মিত শ্রোতা মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী হলদে পাখি শরিফ জায়মা রহমান জানায়, হলদে পাখির কলকাকলি অনুষ্ঠানটি শুনে সে জানতে পেরেছে কিভাবে পরিবারের অন্য সদ্যেদের সাহায্য করতে হয়। এছাড়াও মেয়ে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করনীয় সম্পর্কে ।

মনির্জা রহমান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী সাবরিনা সালাম জানায়, সে অনলানে রেডিও বড়ালের হলদে পাখির কলকাকলি অনুষ্ঠান শুনে করোনা মহামারির এই সময়ে ভাইরাস থেকে কিভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যায় তা জানতে পেরেছি এছাড়াও সঠিক ভাবে হাত ধোয়ার নিয়ম এবং সুস্থ থাকতে পুষ্টিকর খাবার গ্রহনের উপকারিতা সম্পকে জানতে পেরেছি ।

বাঘার আড়ানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী রিয়া বলছিলো, সে নিয়মিত রেডিও বড়াল শুনে এবং “হলদে পাখির কলকাকলি” অনুষ্ঠানিট তার খুব ভাল লাগে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সে সুরক্ষা আইন এবং সঠিক ভাবে রাস্তাপারাপারের নিয়মগুলি সম্পর্কে জানতে পেরেছে । শুধু শিশুরাই নয় অভিভাবকদের কাছেও সুনাম কুড়িয়েছে হলদে পাখির কলকাকলি।

অভিভাবকরা বলছেন, এই ধরণের অনুষ্ঠান নিয়মিত প্রচার হলে বিনোদনের পাশাপশি শিশুদের মানষিক বিকাশ ঘটবে তাই তারা নিয়মিত অনুষ্ঠানটি প্রচার অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান।

ইন্সটটিউিট অফ কমউিনকিশেন স্টাডজি এবং রেডিও বড়ালরে যৌথ প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয় রাজধানী অঞ্চল বাংলাদেশ  গার্ল গাইডস্ এসোসিয়েশনের সৌজন্যে ।

কোভডি-১৯,স্বাস্থ্য সুরক্ষা ,রোড সেফটি,স্যানটিশেন এবং শিশু পাচার নিয়ে ৫ টি পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানে র্গাল গাইডস্ এসোসয়িশেনরে র্কাযক্রম সর্ম্পকে তথ্য, হলদে পাখরি প্রতজ্ঞিা, সচেতনতামূলক কার্টুন, বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররে  পরামর্রশসহ নানা আয়োজন দিয়ে সাজানো হয়েছে “হলদে পাখরি কলকাকলি” অনুষ্ঠানটি ।

উল্লেখ্য বাংলাদেশ গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশন ঢাকায় ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। এটি ১৯৭৩ সালে দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব গার্ল গাইডস অ্যান্ড গার্ল স্কাউটস-এর সদস্য হয়।

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি বালিকা ও তরুণীদের মধ্যে নেতৃত্ব সৃষ্টির প্রশিক্ষণদানে দেশের সর্ববৃহৎ সংগঠন। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য হচ্ছে মেয়েদের সুপ্ত সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তোলা এবং জাতীয় ও সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য তাদের উৎসাহিত করা।

সংগঠনটি মেয়েদের মানসিক বিকাশ, চরিত্রগঠন, শারীরিক যোগ্যতা দৃঢ়ীকরণ, বিনোদন, সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়ন, সৃজনশীলতা, উপচিকীর্ষা, ঘরকন্নায় দক্ষতাবৃদ্ধি ইত্যাদিকে লক্ষ্যীভূত করে একটি ৮-দফা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। শিক্ষানবিশ গার্ল গাইডদের তিন দলে বিভক্ত করে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

এগুলোর প্রথম স্তর হলো হলদে পাখি । হলদে পাখি সম্পর্কে বাংলাদশে র্গাল গাইডস্ এসোসয়িশেন, রাজধানী অঞ্চলের আঞ্চলকি কমশিনার রওশন ইসলাম জানান, ৬-১০ বছরের শিশুদের হলদে পাখি বলা হয়, পূর্ব-পাকিস্তান সময়ে এদের নীল পাখি বলা হত এবং বাংলাদেশ হওয়ার পর নাম পরিবর্তন করে হলদে পাখি নামকরণ করা হয়।

গাইডিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা হিসেবে পরিচালিত হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে হলদে পাখির দল গঠন করা হয়।

ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে হলদে পাখির দল গান, নাচ, খেলাধুলার মাধ্যমে নিজেদের দৈনদিন কাজ যেমন- নিজের পোশাক ধোয়া, গুছিয়ে রাখা, জুতা পরিষ্কার, চুল আঁচড়ানো, ছোট ভাই বোনদের দেখাশুনা করা, বড়দের কথা মান্য করা, দলীয়ভাবে কাজ অর্থাৎ- একমত হয়ে কাজ করা ইত্যাদি শিখে।

আরও দেখুন

লালপুরে কুরেছান বেগমের ইন্তেকাল 

নিজস্ব প্রতিবেদক লালপুর,,,,,,,,,,,,,,দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার নাটোরের লালপুর প্রতিনিধি ও মডেল প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সাহীন …