রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪
নীড় পাতা / সাহিত্য ও সংস্কৃতি / কবিতা / রুদ্র অয়ন এর একগুচ্ছ কবিতা

রুদ্র অয়ন এর একগুচ্ছ কবিতা

নিরব ভালোবাসা

মেঘবালিকা, আমি তোমার 
ভালোবাসা কিনা জানিনে,
তবে তুমিই আমার ভালোবাসা।
এটা ঠিক তখন আমি
 খুব অনুভব করি
যখন আমার
বুকের বাঁ পাশে
 অস্থির অস্থির লাগে।  

তুমিহীনে ক্ষণে ক্ষণে 
আমার হৃদয়ে শূন্যতা
জেগে ওঠে,
ধুধু বালুচর  
মরা গাঙের মতো
মহাশূন্যতা বুকের গভীরে! 
আবার ভিসুভিয়াসের 
লাভার আগুনের মতো 
পুড়ে পুড়ে কয়লা হয় 
আমার হৃদয়! 

মেঘবালিকা, তুমি 
ভালোলাগার চোখে  
নাকি ঘৃণার চোখে 
দেখো জানিনে! 
তুমি ভালোবাসো কিনা 
তাও আমি জানিনে! 

আমিতো পাওয়ার আশায়
ভালোবাসিনে তোমায়
নাইবা হলে তুমি আমার। 
তোমার প্রিয়জনদের নিয়ে
তুমি ভালো থেকো
খুব ভালো থেকো। 

তুমি ভালো থেকো-
আমার সকল 
ভালো থাকার দামে;
এইতো আমার নিরব ভালোবাসার প্রার্থনা। 

তোমাকে আর ভালোবাসবোনা

একদিন তুমি আমাকে
অনুভব করবে
যেমন তোমাকে করেছি আমি।

তুমি একদিন
আমার জন্য কাঁদবে,
যেমন আমি 
তোমার জন্য কেঁদেছি।  

একদিন তোমার 
দরকার হবে আমাকে,
আমার যেমন
দরকার ছিলো তোমার। 

তুমি যেদিন অপমানিত
অবহেলিত আর 
চরম আঘাত পাবে
তোমারই প্রিয়জনের কাছে
সেদিন ঠিক বুঝতে পারবে
কতটা নিঃস্বার্থ 
ভালোবেসেছিলেম 
আমি তোমায় ; 
হ্যাঁ নিঃস্বার্থ ভালোবেসেছিলেম। 
কখনও তোমার অসম্মান করিনি 
অবজ্ঞা করিনি। 
অথচ আমাকে 
অসম্মান, অবহেলা- অবজ্ঞাই
করে গেছো তুমি! 

একদিন তুমি 
আমাকে ভালোবাসবে,
তবে আমি তোমাকে 
আর ভালোবাসবো না।

যে হৃদয় জ্বালিয়ে পুড়িয়ে
করে দিলে ছাই,
সেই পোড়া হৃদয়ে কি গো আর
ভালোবাসা যায়?

হৃদয় জুড়ে তুমি

আমার হৃদয়ের গভীরে
শুধু তোমার আনাগোনা,
আমার চোখে শুধুই যে গো
তোমার স্বপ্ন বোনা।

সহস্র কথা তোমায় নিয়ে
মনে মনে যে আমি বলি,
তুমি আমার হৃদ বাগানে
প্রথম গোলাপের কলি। 

তুমি ছাড়া এই জীবনটা
অন্ধকারের ধোঁয়া,
তুমি আমার এ জীবনের
প্রথম প্রেমের ছোঁয়া।

তোমাকে ছাড়া বুকের মাঝে
বড্ড শূন্য শূন্য লাগে,
তোমায় এতোটা ভালোবাসি
বুঝিনিতো আমি যে আগে!

চির সাথী হয়ে থেকো তুমি
পাশে থেকো গো আমরণ,
আমার এই হৃদয় জুড়ে
শুধু  তোমার  বিচরন।
   

জীবন

জীবনটা দুঃখ সুখের 
যেন এক চারুকলা,
বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে
সামনে এগিয়ে চলা। 

জীবন সেতো কান্না- হাসি
মিল অমিলের খেলা,
সময়  যায়  সময় স্রোতে
দিন বদলের মেলা।

জীবন সেতো বাধা বিপদ
পেরিয়ে ছুটে যাওয়া,
জয় পরাজয় আর থাকে
আশা চাওয়া-পাওয়া। 

কখনওবা স্মৃতি
ময়অতীত ফিরে যে দেখা,
জীবন সেতো নিত্যনতুন
অনেক কিছুই শেখা। 

কখনও হিসেব মেলানো
মনেরই ধারাপাতে,
তোমায় নিয়ে যে স্বপনদেখা,
হাত রেখে হাতে।

একি অনাসৃষ্টি


নিত্য পণ্য 
উর্ধ্ব দাম
মন তার ভালো নেই,
বাজারেতে
যেতে যে হবে
পকেটেতো টাকা নেই! 

ব্যাগ হাতে
ধরিয়ে দিয়ে
বউ তাকে তাড়া দেয়,
জীবনের
কষ্টগুলো
শুধু তাকে নাড়া দেয়।

মরিচ ও
পিয়াজ আলু
কিনতে যে লাগে ভয়,
নেতাদের
বসত বাড়ী
কেবলি যে পাকা হয়।

গরীবের
নেতারা হায়
কোথা পায় এতো টাকা,
সাধারণ
জনগনের
পকেট যে হয় ফাঁকা! 

নেতারা কি
বোঝে রে ভাই
জনতার কি কষ্ট,
বসে বসে
ঠিকই খান
পোলাও মাছ গোস্ত! 

চারিদিকে
খুন ধর্ষণ বেঁচে থাকা বড় দায়! 
অপরাধী
কঠোরতর
শাস্তি সে যেন পায়। 

কেউ কেউ
লুটপাটেতে
করছে অনাসৃষ্টি,
শীত কালে
পৌষ মাসেও
নামে যে ঘোর বৃষ্টি।

লেখক: রুদ্র অয়ন ঢাকা, বাংলাদেশ

আরও দেখুন

কবি নাজনীন নাহার এর কবিতা “আমি মানুষ’’

আমি মানুষ! নাজনীন নাহারআমি মানুষ!হ্যাঁ আমি মানুষ।আমি অমানুষের করি নাশ,মানচিত্র থেকে মুছে দেবো আমি অমানুষদের …