নারদ বার্তা ডেস্কঃ রিকশায় ফেলে যাওয়া ২০ লাখ টাকার ব্যাগ ফিরে পেলেন সার ব্যবসায়ী রাজীব প্রসাদ।
আজ, শুক্রবার সকালে রিকশাচালক লাল মিয়া বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার রনবাঘা বাজারে রিকশায় ফেলে যাওয়া টাকাসহ ব্যাগটি মালিককে ফেরত দেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা তাঁর কার্যালয়ে উদ্ধার হওয়া টাকার ব্যাগ আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবসায়ী রাজীব প্রসাদের হাতে তুলে দেন।
ব্যবসায়ী রাজীব প্রসাদ জানান, তিনি নন্দীগ্রামের রনবাঘা বাজারে সারের ব্যবসা করেন। বসবাস করেন বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায়। শুক্রবার সকাল সোয়া সাতটার দিকে জলেশ্বরীতলা কালীবাড়ি মোড় এলাকা থেকে একটি রিকশায় উঠে সাতমাথায় রাজশাহী রুটের বাস ধরার জন্য নামেন। তাঁর সঙ্গে ছিল তিনটি ব্যাগ। কিন্তু ভুলবশত এর মধ্যে ২০ লাখ টাকা ভর্তি ব্যাগটি তিনি রিকশায় ফেলে যান। ১০ মিনিট পর ব্যাগটির কথা মনে হলে তিনি সাতমাথা এলাকায় রিকশাচালককে খুঁজতে থাকেন। এ সময় তিনি দ্রুত বিষয়টি বগুড়া সদর থানা-পুলিশকে জানান।
বগুড়া সদর থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন, সাতমাথা এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রথমে রিকশাচালককে শনাক্ত করে তাঁর ছবি উদ্ধার করা হয়। পরে অন্য রিকশাচালকদের সহযোগিতায় রিকশাচালক লাল মিয়াকে খুঁজে বের করা হয় বগুড়া শহরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকা থেকে।
লাল মিয়া পুলিশকে জানান, তিনিও রিকশায় ফেলে যাওয়া টাকার মালিককে হন্যে হয়ে খুঁজছিলেন। টাকার ব্যাগটি তিনি বাড়িতে যত্ন করে রেখেছিলেন। পরে বাড়িতে রেখে আসা টাকার ব্যাগটি পুলিশকে ফেরত দেন। এ সময় লাল মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে ব্যবসায়ী রাজীব প্রসাদের কাছে পুরো টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
ব্যবসায়ী রাজীব প্রসাদ বলেন, তিনি পুরো টাকা ফেরত পেয়েছেন। রিকশাচালকের সততায় মুগ্ধ হয়েছেন তিনি। লাল মিয়া ভাড়া রিকশা চালাতেন। তাঁর সততায় মুগ্ধ হয়ে তাঁকে নতুন একটি রিকশা কেনার জন্য ৫০ হাজার টাকা তাৎক্ষণিক দিয়েছেন রাজীব। তিনি জানান, পুলিশের তৎপরতা এবং রিকশাচালকের সততার কারণেই ফেলে যাওয়া এতগুলো টাকা ফেরত পাওয়া সম্ভব হয়েছে।