নিউজ ডেস্ক: সরকারি সংস্থার ভূমিকা সম্পর্কে ই-মেইলে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য আদান প্রদানের অভিযোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান কর্নেল (অব.) ইসহাক মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাবের পক্ষ থেকে দুজনের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ এর ২৭/৩১/৩৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয় বলে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
সূত্র বলছে, সরকার সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রদান ও সরকারি সংস্থার ভূমিকা সম্পর্কে মেইলে বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য আদান প্রদানের প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের দুজনের নামে। এরপর কর্নেল ইসহাককে দুপুরের দিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করে পল্লবী থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণার অভিযোগের এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালত। আর রাত সাড়ে ৮টার দিকে মেজর হাফিজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করে পল্লবী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এমন প্রেক্ষাপটে সরকারবিরোধী প্রচারণায় মিথ্যা তথ্য প্রচারের সঙ্গে জড়িত বিএনপি নেতাদের অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। কেননা, বেশ কিছুদিন ধরে অনেক নেতাই প্রকাশ্যে বা আড়ালে সরকারের বিরুদ্ধে নানা অমূলক মন্তব্য ও বক্তব্য দিয়ে আসছেন। যারা এমন প্রচার-প্রচারণার সঙ্গে জড়িত তারা বিএনপির এই দুই নেতার গ্রেফতারের পর ভীত হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং ইসহাক মিয়ার তথ্য বিভ্রান্তির বিষয়ে আমি আগেই শুনেছিলাম। বিষয়টি শুধরে নেয়ার কোনো পথ ছিলো না বলে এ বিষয়ে এ পর্যন্ত কোনো কথা বলিনি। কিন্তু দু’একটা আলোচনায় এ বিষয়ে বারবার সতর্ক থাকার বিষয়টি উঠেছিলো। কিন্তু সেদিকে বিশেষ নজর না দেয়ায় আজ তাদের গ্রেফতার হতে হলো। এ নিয়ে আমরা বেশ চিন্তিত। আমরা দলের হাইকমান্ড থেকে নির্দেশ পেয়েছি বিভ্রান্তিকর কোনো বক্তব্য না দেয়ার। বিষয়টি নিয়ে আমরা সতর্ক আছি।