নিউজ ডেস্ক:
বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা এবং সামরিক একনায়ক জিয়াউর রহমান একাধারে রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ি এটি রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ। কারণ একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী একজন সামরিক কর্মকর্তা কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন না। কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন না। কিন্তু জিয়াউর রহমান এই দুইটি অপরাধেই অপরাধী।
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। বঙ্গবন্ধুর এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তৎকালীন উপ-সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান। ‘৭৫ এর পরপর ২৪ আগস্ট তাকে সেনা প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেন খুনি খন্দকার মোশতাক সরকার। এটা থেকেই প্রমাণিত হয় বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে প্রত্যক্ষ মদদ ছিল জিয়াউর রহমানের।
শুধু তাই নয়, আর একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান পুরোপুরি কর্তৃত্ব দখল করেন এবং বিচারপতি সায়েমকে নামমাত্র রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাখেন। কিন্তু ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল বঙ্গভবনে গিয়ে অস্ত্রের মুখে বিচারপতি সায়েমকে পদত্যাগে বাধ্য করে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানই একমাত্র ব্যক্তি যিনি সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতি দুটি দায়িত্ব একসাথে পালন করেন।
বাংলাদেশের সংবিধান এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ি এটি একটি রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ। কারণ একজন সেনাপ্রধান কোনভাবেই রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করতে পারেন না। একজন সেনাপ্রধান রাজনৈতিক পদও গ্রহণ করতে পারেন না। কাজেই রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান দুটি দায়িত্ব একসাথে পালন করে জিয়াউর রহমান শুধু সংবিধান লঙ্ঘনই করেননি, তিনি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ করেছেন।
উল্লেখ্য যে, জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় কার্যত তিনি সকল খমতার উৎস ছিলেন। ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের যে তিনিই অন্যতম পরিকল্পনা কারী, প্রথমে সেনাপ্রধান ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি হওয়ার মধ্যে দিয়ে তিনিই সেটি প্রমাণ করেছেন।