শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪
নীড় পাতা / আন্তর্জাতিক / রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন: কাজ করবে? কতটা নিরাপদ?

রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন: কাজ করবে? কতটা নিরাপদ?


বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রথম ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়ে ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাশিয়া

নিউজ ডেস্ক:
নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকর একটি ভ্যাকসিন খুঁজে পাওয়ার প্রতিযোগিতায় বিশেষ উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না। কারণ এই প্রতিযোগিতা চলছে কিছুটা তথাকথিত ‘ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদ’র আদলে। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বেশিরভাগ সময়ই ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়ে একই পাটাতনে দাঁড়িয়ে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে।

এর মাঝেই মঙ্গলবার বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রথম ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়ে ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাশিয়া। মস্কো বলছে, তারা স্পুটনিক-৫ নামের একটি কার্যকর এবং নিরাপদ ভ্যাকসিনের নিবন্ধন দিয়েছে। তৃতীয় ধাপের ব্যাপক পরিসরের সুরক্ষা পরীক্ষার ফল আসার আগেই এই ভ্যাকসিনটি গণ-উৎপাদন এবং ধাপে ধাপে গণহারে প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া; এই কাজে সাধারণত দীর্ঘ সময়ের দরকার হয়।

বিশ্বজুড়ে মহামারি পূর্ববর্তী স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার তীব্র আকাঙ্ক্ষার মধ্যে যেকোন একটি ভ্যাকসিনকে সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্তে এক চিলতে আলো মনে হতে পারে। কিন্তু আসলেই কি তাই?

কিন্তু বাস্তবতা হলো- কার্যকারিতার ক্ষেত্রে সব ভ্যাকসিন এক নয়।

কিছু মৌসুমি ফ্লু ভ্যাকসিন যে ধরনের সুরক্ষা দেয় তাকে চিকিৎসাব্যবস্থার ক্ষেত্রে সর্বোত্তম হিসেবে বর্ণনা করা যেতে পারে। যেমন- ১৯৫০ এর দশকে জোনাস সলকের তৈরি পোলিও ভ্যাকসিন। পোলিওর বিরুদ্ধে কার্যকর প্রমাণিত হলেও এই ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক পরিসরে প্রয়োগের জন্যও অনেক সময় লেগেছিল।

রাশিয়ার কর্মকর্তাদের প্রায়ই নানা ধরনের দাবি করতে দেখা যায়। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করলেও রাশিয়াকে কাঠগড়ায় তুলছেন অনেকেই। এখন পর্যন্ত রাশিয়ার ভ্যাকসিনের অগ্রগতির ব্যাপারে যে দাবি করা হয়েছে, এর আসল প্রতিশ্রুতি যাই হোক না কেন; বিশেষজ্ঞদের মতে- অসচ্ছতা এবং বৈজ্ঞানিক মানদণ্ড বিবেচনায় এই ভ্যাকসিন নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলছে, রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন মূল্যায়নের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।

রাশিয়ার এসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালস অর্গানাইজেশন গত মে মাসের শেষ দিকে ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল চালায়। সেই সময় ভ্যাকসিনটির আবিষ্কারক সংস্থা মস্কোর গামালিয়া ইনস্টিটিউটের প্রধান বলেছিলেন, তিনি এবং তার সহকর্মীরা ভ্যাকসিনটির প্রাথমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। ক্ষমতাসীনদের ব্যাপক চাপের মুখে বৈজ্ঞানিক গবেষণার নিয়মনীতির মারাত্মক লঙ্ঘন করেই তারা প্রাথমিক পরীক্ষা চালিয়েছেন বলে স্বীকার করেন তিনি।

সূত্র: জাগো নিউজ

আরও দেখুন

নাটোরের সকল এমপিদের গ্রেপ্তারের দাবি যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের

নিজস্ব প্রতিবেদক,,,,,,,, সাম্য ও মানবিক দেশ বিনির্মাণে দিকনির্দেশনামূলক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *